Hot Posts

6/recent/ticker-posts

মৌন নয়- শওকত ওসমান / ভাষা আন্দোলন এর গল্প

 


*ভাষা আন্দোলন এর গল্প

*৫২ র ভাষা আন্দোলন এর গল্প 

*শওকত ওসমান এর গল্প 


মৌন নয়।

শওকত ওসমান


বাসে সমস্ত প্যাসেঞ্জার চুপচাপ বসে আছে।

কিছুক্ষণ আগে যেন অনেক কথা হয়ে গেছে। অনেক অনেক কথা। তারই তর্জনি উচোনো উদ্ধৃত শাসনে সব চুপ। পার্শ্বস্থ দ্রুতচারী গাছপালা থেকে সন্ধানী পাখিদের মিষ্টি চিৎকার শুধু ব্যতিক্রম। অনেক অনেক কথা ছড়ানো রয়েছে জীৎ বাসের কাঠের ফ্রেমে। এখন তাই সবাই স্তব্ধ। বিরহী কান্নায় বুক হাল্কা করে দিয়ে চোষ আছে বিষন্ন দিগন্তের দিকে। আর কথা বলা নিষ্প্রয়োজন। বাতাসের মর্মর শুধু কাজ করে যয় অন্ধকারে গড়ে-পড়া পাতার ধমনীতে। পৃথিবী আর্তনাদ শুনুক। মানুষের মুখ বন্ধ থাক।

অস্পষ্ট আলো জ্বলছে বাসের ভিতরে।

কন্ডাকটার ফ্রেমের শিক ধরে দাড়িয়ে আছে। প্যাসেন্ডার ডাকা আজ তার কর্তব্যের মধ্যে গণ্য নয় : হাটহাজারী বায়েজিদ বোস্তান নতুন পাড়া তার মুখ থেকে দইয়ের মতো ফুটে বেরোয় অন্যান্য দিন। আজ কড়াকটারের ছুটি অথবা কোনো প্যাসেঞ্জার প্রয়োজন নেই।


বাসের ঝাকুনির সঙ্গে সামাল দিয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে পা-দানীর উপর। তারও দৃষ্টি অন্ধকারের দিকে বাসের জানালা ছাড়িয়ে। ওপাশে আকাশের গায়ে সীতাকুণ্ড পাহাড়-শাখার স্তব্ধ টিলারা কুঁজো হয়ে দৌড়ের বাজি ধরেছে বাসের সঙ্গে। পাশে কালো নিস্তরঙ্গ মেঘের পটভূমি। যার বুক ফুঁড়ে কোনো নিঃসঙ্গ খেজুর কি অন্য কোনো বুনো গাছ গোধূলি-হাওয়ায় দোল খাচ্ছে প্রবাহের সঙ্গ নিতে। কড়াকটারের চোখে ঝালা আকার-আয়তন শুধু আঁকা হয়, তার কোনো বস্তু নাম।


**ভাষা আন্দোলন এর আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন  


প্যাসেঞ্জার দশ-বারো জন। ড্রাইভারের পাশে একজন। তার মাথায় হ্যাট। কোনো অফিসার হওয়া সম্ভব! ঐ মুখ দেখা যায় না। অন্ধকারে ড্রাইভারের সোজাসুজি গরাদের এপারে ঠিক মাঝখানে একজন বজ্র উপবিষ্ট। বাসের আলোয় তার মুখ স্পষ্ট। নাদা দাড়ি-ঘন চওড়া রেখায়িত মুখ, খাড়া নাক। ঈয়ং কোটরাগত চোখের দু-পাশেও রেখার ভিড়। মাঝে দীর্ঘনিঃশ্বাস গ্রহণের সময় বৃদ্ধ এক-একবার চোখ খুলছে, তখন কোটরের গভীরতা উবে যায়, দীপ্তির আভাস স্বতঃই প্রকাশ পায়, নামাজ-কালীন তহরিমা বাধার মতো বুকে দুই হাত বেঁধে সে আছে। অবনত মুখ। দুই গণ্ডদেশের মাঝামাঝি নাক, আলো ছায়ার জাল বুনে রেখেছে। তাই এই মুখ মনে হয় আদিম পাহাড় চূড়ায় খোদাই কোনো দরবেশের মূর্তি। গায়ে পিরহানখুলে পড়েছে পা-এর। কাণে লাল গামছা। পারে সাধারণ চটি। বসে আছে মোন নিতে জার ফোকলা গালে আরো খাদ সৃষ্টি হয়। আলো-ছায়ার অগোম্যালো বিকিরণ কোনো কঙ্কাল মুখ সৃষ্টি করে—যার গর্তে গ্রামের দুষ্ট ছেলেরা যেন সামা শন গুজে দিয়েছে মানুষ তৈরির লোভে। সমস্ত খোরের দৃষ্টি প্রায়ই এই রক্তের উপর নিযুক্ত। অন্য সময় তারাও বাইরের দিকে চেয়ে থাকে।


বুদ্ধের দুই পাশে দুইজন চাষী। সাম্মুখে বাসের মেঝের একজোড়া বাশের বজরা পড়ে আছে। কোনো জিনিস নিয়ে শহরে বিক্রি করতে গিয়েছিলো, এখন ফিরে যাচ্ছে হাটের শেষে। এই দুই জনের পরনে লুঙ্গি। ঈষৎ শীতের আমেজ আছে বাতাসে, তাই গায়ে গামছা লেপটানো। তারাও চুপচাপ। দুইজনে বৃদ্ধের দিকে ঘন ঘন তাকায় তারপর মাথা নিচু করে কি যেন ভাবে। আবার জানালার বাইরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।


বাম পাশের চাষী একজন অনেকক্ষণ উসখুস করছিলো। তার গলায় অস্বোয়ান্তি, পাকা বিড়ি-খোর সে। কিন্তু বিডি ধরাতে সাহস পায় না। কোনো পবিত্র আস্তানায় যেন সে বসে আছে, সম্মুখে পীর-পয়গম্বর, এখানে বিডি ধরানো বেয়াদবি। এমন ধৃষ্টতা তার মনুষ্যত্বের বাইরে। দেয়াশলাই-বিড়ি বাম হাতে ধরে সে এমন জড় বনে গেছে, যেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত। বৃদ্ধের দিকে এক-একবার চায় আর মুখ নিচু করে সে।


**মুক্তিযোদ্ধের গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 


ড্রাইভারের সোজাসুজি পাশবেঞ্চির উপর একজন তরুণ। হাতে বই দেখে নিঃসন্দেহে বলা যায় ছাত্র। গৌরবণ মুখে কৈশোরের ছাপ একদম নিঃশেষে মুছে যায়নি। তার কৃশ লম্বাটে মুখাবয়ব পাষাণের মতো স্থির। চুপচাপ সে-ও। হাঁটুর উপর হাট তুলে অনড় হয়ে বসে আছে। মাঝে মাঝে পায়ের অস্বোয়াস্তি কাটাতে যখন সে হাঁটু বদলায়, তার পায়জামার নিচে বাদামি জুতোর ঘষঘষ আওয়াজ হয়। কিন্তু এতো মৃদু যে, স্টিয়ারিং আর ইঞ্জিনের তোড়ে তা থই পায় না। একটা বাংলা বই খুলে সে একঘেয়েমি ধ্বংসের চেষ্টা পেয়েছিলো। কিন্তু চোখ আজ বইয়ের পাতায় শান্তি পায় না। সমতল, মাঠ, নতুন অফিস কি কারখানা ঘরের আলো ছাড়িয়ে টিলার ঘন-কালো অন্ধকারেই বোধ হয় চোখের শ্রেষ্ঠ বিশ্রাম স্থল। কিসের ঝাপটা যেন ঐ তরুণের মুখেও র‍্যাদা চালিয়ে এবড়ো-থেবড়ো অকর্ষিত জমি-জাত রুক্ষতা লেপে দিয়েছে। দাতে দাত চেপে হাতের মুঠি শক্ত করে সে আজ মন-প্রবাহের উজানে গুন টানছে।


ছাত্রটির সোজাসুজি সম্মুখের বেঞ্চের উপর উপবিষ্ট একজন কেরানি ভদ্রলোক। উত্তরমুখী বাসের যাত্রাপথ। সে পশ্চিম দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে আছে ঘাড় একটু কাৎ করে। কোনো অস্বোয়াত্তি যেন নেই তার এমন আসনে। নিবিড় অন্ধকারেই বরং সোয়াস্তি জড়ো হয়েছে। উধাও গতি বাসের সঙ্গে মনের সমতা রক্ষা অন্ধকার আকড়েই সম্ভব। একটু হাত পাও নড়ে না তার। ভদ্রলোকের পাশে আরো কয়েকজন আছে। ছোট বাল্বের আলো ফিকে, সকলের মুখ দেখা যায় না। কিন্তু নিস্তব্ধতার ছোঁয়াচ তাদেরও রেহাই দেয়নি। ছাত্রের পাশে এমন আরো কয়েকজন। সবাই বোবা। কেউ কাশছে না পর্যন্ত। মফঃস্বলের উঁচু-নিচু পথে বাসের সফর সুখ-দায়ক নয়, গল্প-গুজবে এই অসুবিধা কিছু কমে। কিন্তু আজ কারো কোনো উৎসাহ নেই। একজন জানালার গরাদে মাথা চেপে ধরেছে জোরে। হয়তো মাথা ধরা অথবা ক্ষোভে জ্বালায় হাত-পা ছোঁড়ার অশোভনতা থেকে মুক্তির উপায়স্বরূপ এই পন্থা।



একটা লেভেল বসিং পার হতে বাসের গতি ঝিনিয়ে এলো। কেন জোনাকি উড়ছে হাজার হাজার। খেজুর ঝোপ শাদা চুল বুড়ির।  ক্রসিং-এর পর একটু খাড়াই পথ। মোটরের ইঞ্জিন বদলের সাথে আবার পুরাতন স্পীড ঝেটিয়ে যাচ্ছে গাছ-পালার সারি, ম্লান, ডিপাইন খানা, গেরস্থর ঘরবাড়ি, আচকার গুপ্ত ফসল শেষ-নাড়া ধন। ক্ষত পদের মধ্য স্থিত ছোট ফাটল পার হতে বাস বেশ ঝাকুনি খেয়ে উঠল। আরোহীরা ভালো বোলা কি ধরে তাল সামলে নিল, কোন হৈ-চৈ করলো না কেউ এমনি ে মফঃস্থলে কে করে অবহেলা করে। পথের ক্লান্তি হৈ-চৈ দিয়ে ঠেলাঠেলি। আবার সমান পীচপথ। বাসের গতি সমান। একটু এগিয়ে যেতে এক পাশে ঝুলে পড়া গাছটি বাসের পায়ে ডানা ঝটপট করে গেলো। আজ কারো হুঁশ নেই। ভাবকে এশিয়ারি ছাড়ছে না কেউ আগে থেকে। চোখে ডালপালা লাগতে পারে, এমন আশাও নেই। হ আজ কারো চোখ নিজের দিকে নেই। আর কোথাও কোনো বলো বাপরে কি কোনো শোক-বিধব গৃহ প্রাচণে নির্বাকে থেমে আছে। সমস্ত বাংলাদেশের গাছপালা নদী-নাল খাল-বিল ছায়াপথ বন-জঙ্গল পার হয়ে, দূরত্বের ব্যবধান উপেক্ষা করে, বর্বরতার সে স্তব্ধ মিছিলের লক্ষ চোখের দৃষ্টির সঙ্গে মিশে গেছে- আজ একক চোদে তাই মনে হয় দৃষ্টি নেই। তাই তো পুরাতন অভ্যাস ভুলে গেছে যাত্রীরা। ড্রাইভারের বাম হাতে একটি হলুদ  পাতা ডালের হোঁচট লাগলো, সে আত্মরক্ষায় হাত বাড়াল না, থামলো না যেমন তরু শাখা। স্পিড আরো বেড়ে গেলো। পাতায় আলিঙ্গন বন্ধ ক নক্ষত্ররা তাকায়। আবার বোবা মাঠের বিস্তার, উপরে খোলা আকাশ, তখন তারা অবা জিজ্ঞাসা- চিহ্নের মতো দেখায়। মৌন পূর্ববঙ্গ যেন এখানে জ্বলে জিগ্সেস করছে।  আমার শস্য-শ্যামলা হরিৎ প্রান্তর, তোমাদের এই অন্নাতুর কান্না কেন তোমাদের ভাষা কোথায়? তোমরা স্তত্ব্ধ কেন?


কেউ জবাব দেয় না। বাসের অভ্যন্তরে সবাই মূক। খাটগট ইঞ্জিনের বাস উঠছে, তারও জবাব দেওয়ার কোনো ভাষা জানা নেই।


লোকালয় পার হয়ে এলো যন্ত্র- শকট, এবার দু'পাশে বে-বহা মাঠ। একদিকে পাহারা শিরদাড়া থমথমে অন্ধকারে ঝাপসা। সমতল জমির উপর গাছ-পালার ছো" আধারের বিভিন্ন স্তরবিন্যাস সৃষ্টি করেছে। পাড় ভাঙা শুকনো দিঘি, ঝাউয়ের পাহারা দেও পল্লী পাথর আত্মগোপনের ফাঁদ হেডলাইটের সম্মুখে ভেঙে যায়। আবার একাকার দল। টায়ার নিচে। মচ মচ শব্দ শুধু জানান দেয়, এখানে বসন্তের হাওয়ায় অনেক পাতা করছে, পাতায় পুরু এই পথ। কাঠের ব্রীজে চাকা ওঠার সময় ঢোলের মতো ডুগডুগ শব্দ হয়। এখন গতির মুখে কাউ মমর বন-কলকাতা কোনো দাগ কাটতে পারে না কানে। বাস চলছে এই পৃথিবীতে এই এক মুহূর্ত্তই সত্য মাত্র জীবিত।

ছাত্রটির পাশে উপবিষ্ট কয়েকজনের মধ্যে একটি লোক বিডি বের করলো। হাতে দেশালাই। অতি সন্তপিত—যেন তার কাজ কারো দৃষ্টি আকর্ষন না করে। বিভি দে ভাবছে সে। একটা দেশালাইয়ের কাঠিও সে বের করলো খোল থেকে। সামুখে বেঞ্চি থেকে একজন হাত ইশারায় বৃদ্ধের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আর মাথা নাড়ে। বিড়ি ধরিয়ো না-

তোমার লজ্জা করে না? এমনই ভাবখানা। নেশাখোরের আর নেশা করা হলো না। শাটের পকেটে দেশালাই ঢুকল, দেশালাইয়ের কাঠি একাকী- ঢুকল। সণে ঐ ব্যক্তি আবার যাত্রীদের দিকে চেয়ে দেখে, কেউ তাকিয়ে নেই তো? শান্ত মুখে ভদ্রলোক অন্ধকারে নিজের দৃষ্টি ডুবিয়ে দিল। দুষ্কৃতি নিবারণকারী এতোক্ষণ সহযাত্রীর দিকে তাকিয়ে ছিলো। এখন তার চোখও জানালার বাইরে।

গোটা দুই বাঁক ফিরতে বাসের স্পিড সামান্য কমলো। রাত্রির প্রহর শুধু কমে না। কনে না বাসের ভিতর স্তব্ধতার শাসন।

মাঠের সফর শেষ হয়ে গেলো। আবার লোকালয় শুরু হয়েছে। দু'পাশে বিসমারা ঘরবাড়ি, দহলিজ, কলা বাঁশের বন। হেড লাইটের আলো তীক্ষ্ণধার এই সড়কে। একদম শীত যায়নি। ফিকে কুয়াশা গাছপালায়। অন্যান্য দিন পার্শ্ববর্তী দোকানে কলরব ওঠে। আজ লোক বসে আছে, কিন্তু গলা-ফাটা চঞ্চলতা নেই।

এই লোকালয়ের পর ছোট মাঠ শেষে বাসের একজন যাত্রী উসখুস করে কন্ডাকটারের দিকে তাকায়। কিন্তু কোনো কথা বলে না। হাবভাবে মনে হয়, তার গন্তব্যস্থান নিকটে। কন্ডাকটারের চোখে পড়ল একবার। সে একটু উঠে এলো ড্রাইভারের সোজাসুজি। তারপর গরাদের ভেতর হাত গলিয়ে চালকের হাতে একটু টিপ দিল। আর কোনো কথা হয় না। বোবার রাজ্যে ঠোঁট থাকা যথা।

পল্লী-পথের মুখ বড় সড়কে এসে মিশেছে। দু-পাশে দুটো মোটা কদম গাছ। আঁকা বাঁকা ধূলি-ধূসর পথের সর্পিলতা এই দিকে অন্ধকারে উধাও। ঐ ভদ্রলোক ধীরে ধীরে নেমে গেলো। বার বার তার চোখ ঐ মৌন বৃদ্ধের উপর নিবদ্ধ হয়। শেষবারের মতো সে দেখে নিলো বাসের দরজা থেকে। কন্ডাকটার ভাড়া নিয়ে গলায় ঝোলানো ব্যাগে রেখে দিলো। আলোর কাছে হাতের তালু চওড়া করে খুচরা পয়সা গোণা আজ নিষ্প্রয়োজন। প্যাসেঞ্জার ঠকিয়ে যেতে পারে? কিন্তু আরো বিরাট ক্ষতির দাগা খেয়েছে সে, তাই এই লোকসান তুচ্ছ। কন্ডাকটারের স্বতঃই মনে হয়, আজ তাকে প্রতারিত করে যাওয়ার মতো এতো শঠ এই এলাকায় নেই।

আবার ধাবমান পথ, চাকা, গ্রাম-গ্রামান্তর।

বুদ্ধ দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে একবার চোখ তুলে চাইলো। কিন্তু চোখ তখনই বুজে যায়। বুঁদ হয়ে আছে সে চিন্তার কড়া ঝাঝে। কিন্তু তারপরই সমস্ত বাস যাত্রীদের মধ্যে স্তব্ধতা বেড়ে গেলো। ছাত্রটি কি যেন বলতে গিয়ে থামল। বৃদ্ধের বদ্ধ মুঠি আরো শক্ত হয়ে উঠলো। পার্শ্ববর্তী চাষী মাথা নাড়লো নিজের খেয়ালে- কোনো আত্ম-কথোপকথনের বুদ্বুদের আঘাতে হয়তো। কেরানি ভদ্রলোকের মুখাবয়ন বাজু কাঠিন্যে নিথর হয়ে এলো। অন্যান্য যাত্রীদের দৃষ্টি তখন বাসের অভ্যন্তরে। কন্ডাকটার বাসের দরঙ্গায় দাঁড়িয়েছিলো, সেও নিঃশব্দে উঠে ভালো।

শুধু মোটর বাস নিজের চলা পথে নির্বিকার। তার অক্ত- আলোড়ন খটখট রবে, সু পাশের ফেলে আসা প্রকৃতির সমারোহে শব্দায়িত আবার মৌনতার প্লাবন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ