--শাপমোচন -ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় এর শাপমোচন উপন্যাস এর রিভিউ শাপমোচন উপন্যাস এর বিষয়বস্তু শাপমোচন উপন্যাস আলোচনা শাপমোচনের চরিত্র ---
*বুক রিভিউ *
*শাপমোচন -ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়।
খোকন আর কথা কইতে চাইছে না, কথা কইতে পারছে না।
ওকে এগিয়ে দেবার জন্য মাধুরী সেই ছোট দরজাটার কাছে এল। খোকন আবার প্রণাম করলো ওকে। মাথায় হাত দিয়ে বললো -
বেঁচে থাকো। বংশের গৌরব হয়ে বেঁচে থাকো -
ঠিক কাকুরই শেষ কথাটা, খোকন গট্ গট্ করে হাটছে।
ওকে একটি বার আসতে বলো খোকন। মাধুরীর কণ্ঠ ঝংকার দিল আবার।
খোকন চলতে চলতে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল। দ্রুত হেঁটে চলছে। পালিয়ে যেতে হবে, যত শীঘ্র পারে ওর কাছ থেকে পালাবে খোকন।
না, বলা হলো না। বলতে পারলো না খোকন, কাকু নেই। কাকু যে ওর কাছে আছেন, ওর অন্তরে কাকু আজও জীবিত।
মোড়ের মাথায় এসে খোকন তাকালো একবার। মাধুরী হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাত তুলে বললেন - কাকুর সঙ্গে আবার এসো খোকন।
দ্রুত চলে গেল খোকন সেই ডাক বাক্সটার কাছে। দু'হাতের মধ্যে মাথাটা গুছে দাঁড়িয়ে পড়লো। অসহ্য বেদনায় ওর সারা অঙ্গ কাঁপছে - চোখের জল বন্যা নেমেছে দুই গণ্ডে।
প্রচুর কেঁদেছি এই জায়গাটায়! উপন্যাস টা'র শুরুর দিকে মনে হয়েছিল খুবি সাধাসিধে একটা প্লট কোন বৈচিত্র নেই। কিন্তু পড়তে পড়তে কখন যে তার ভিতরে ডুবে গিয়েছি টের ই পাইনি। শেষের দিকে দু একটা জায়গায় প্রচুর কান্না পাচ্ছিল আমার।
কেন এমন টা হয়েছিল বলতে পারবো না। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় এর অন্য কোন উপন্যাস এর আগে আমার পড়া হয়নি। এটাই প্রথম।
খুব কম লেখক ই পারেন গল্পের মোহজালে পাঠক কে ডুবিয়ে দিয়ে চরিত্র গুলোর সুখ দুঃখের সাথে তাদের এক করে দিতে। এই একটা উপন্যাস পড়েই আমি তার মস্ত বড় ভক্ত হয়ে গেলাম।
**রিভিউ প্রদানকারী --
নামঃরিজওয়ান আহমেদ রায়হান
0 মন্তব্যসমূহ