***একাবলী কি?ত্রিপদী ছন্দ কি, চৌপদী বা চতুষ্পদী ছন্দ ও প্রকারভেদ একাবলী কাকে বলে ত্রিপদী ছন্দ বলতে কি বুঝ চৌপদী চতুষ্পদী ছন্দ কি প্রকারভেদ উদাহরণ ***-
**বিঃদ্র-বাংলা বিভাগের সকল পড়াশোনা পেতে ব্লগটিতে যুক্তথাকুন https://monoweredu13.blogspot.com/?m=1
**একাবলী কি?ত্রিপদী ছন্দ কি, চৌপদী বা চতুষ্পদী ছন্দ ও প্রকারভেদঃ-
একাবলী লঘু ও দীর্ঘ দুই প্রকারের হতে পারে। লঘু একাবলী এগার মাত্রার চরণ। প্রতিচরণ দুই পর্বে বিভক্ত এবং মাত্রাবিন্যাস(৬+৫=১১) দুই চরণে পরস্পর মিল থাকে।
(১)লঘু একাবলীঃ-
(১) বড়র পিরীতি | বালির বাঁধ
ক্ষণে হাতে দড়ি। ক্ষনেকে চাঁদ।।
৬+৫=১১(ভারতচন্দ্র)
(২)দুখিনীর দিন | দুখেতে গেল। |
মথুরা নগরে। ছিলে ত ভাল।
- চন্ডিদাস
(২)(দীর্ঘ একাবলী)ঃ-
দীর্ঘ একাবণী বার মাত্রার চরণ। মাত্রাবিন্যাস- ৬+৬=১২।
(১) নয়ন যুগলে | সলিল গলিত।
কনক মুকুরে | মুকুতা খচিত।
---রামপ্রসাদ
(৩)মিশ্র ছন্দ
পয়ার, ত্রিপদী, চৌপদী ইত্যাদি ছন্দ দুই বা ততোধিক মিশ্রিত করলে তাকে মিশ্রছন্দ বলা হয়।
**কে তোমারে করে এত মনোহর,
রাখিল এ ধরাতলে, ধরাধনা করে?
এত শোভা আছে কি এ পৃথিবী ভিতরে।**
**একপদী বা একপর্বিক ছন্দ
প্রত্যেক চরনে বা পঙক্তি তে একটিমাত্র পদ বা পর্ব থাকে এবং প্রতি আট মাত্রা বিশিষ্ট হয়।
**যে যেমন তার ঘরে,
তেমনি মুরতি ধরে,
মানবের কাছে কাছে
সদা সে মোহিনী আছে।**
**ত্রিপদী ছন্দঃ-
ত্রিপদীর প্রত্যেক চরণে তিনটি করে পর্ব বা প্রদ্র থাকে। দুই চরণের শেষে মিল রাখা হয়। আবার প্রতি চরণের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বেও অন্ত্যমিল থাকে |
(১)ত্রিপদীকে লঘু ত্রিপদী
(২) দীর্ঘ ত্রিপদী
(১)লঘু ত্রিপদীঃ-
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব (পদ) ছয় মাত্রার এবং তৃতীয় পর্ব (পদ) আট মাত্রার হয়।(৬+৬+৮)
**যে জন দিবসে।মনের হরষে,
জ্বালায় মোমের বাতি ৷৷
আশু গৃহে তার। দেখিবে না আর
নিশিতে প্রদীপ ভাতি ৷৷**
- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
(২)দীর্ঘ ত্রিপদীঃ-
প্রথম ও দ্বিতীয় পদ বা পর্ব আট মাত্রার এবং তৃতীয় পদ দশ মাত্রার হয়। (৮+৮+১০)।
**মহাজ্ঞানী মহাজন। যে পথে করে গমন
হ'য়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়,
সেই পথ লক্ষ্য করে। স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে
আমরাও হব বরণীয় |**
---হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
**অসম পর্বিক ত্রিপদীঃ-
(ত্রিপদী ছন্দের পরবিন্যাসে বা মাত্রাবিন্যাসে বৈচিত্র্য এনে অসমপর্বিক ত্রিপদী ছন্দের সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমনঃ-
***স্বাধীনতা-হীনতায়। কে বাঁচিতে চায় হে।
কে বাঁচিতে চায়।
দাসত্ব শৃঙ্খল বল,কে পরিবে পায় হে
কে পরিবে পায়।**
-রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
**চৌপদী বা চতুষ্পদীঃ-
চৌপদীর প্রত্যেক চরণে চারটি করে পদ বা পর্ব থাকে। দুই চরণের শেষে মিল রাখা হয়। আবার প্রতি চরণের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বের শেষেও মিল থাকে।চৌপদী মুলত দুই প্রকার--
(১)লঘু চৌপদী
(২)দীর্ঘ চৌপদী
**(১)লঘু চৌপদীঃ-
মাত্রাবিন্যাস : ৬+৬+৬+৫ বা শেষ পর্বে পাঁচের কম। প্রথম তিন পদ বা পূর্ব চুয় মাত্রাবিশিষ্ট হয় এবং তাদের মিল থাকে। চতুর্থ পর্ব পাঁচ বা পাঁচের কম মাত্রাবিশিষ্ট হয়।--(৬+৬+৬+৫)
(১) চিরসুখী জন। ভ্রমে কি কখন
ব্যাথিত বেদন। বুঝিতে পারে? |
কি যাতনা বিষে।বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে।দংশেনি যারে।
(২)দীর্ঘ চৌপদীঃ- -
মাত্রাবিন্যাস – ৮+৮+৮+৭ বা শেষ পর্ব সাতের কম। প্রথম তিন পর্ব বা পদ আট মাত্রাবিশিষ্ট হয়। চতুর্থ পর্বে সাত, ছয় বা পাঁচ মাত্রা থাকে।--(৮+৮+৮+৭)
(১) ভরদ্বাজ অবতংস। ভূপতি রায়ের বংশ
সদা ভাবে হত কংস। ভুরসিটে বসতি।।
---ভারতচন্দ্র।
0 মন্তব্যসমূহ