---কবিতা কি কবিতা কাকে বলে কবিতার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য কবিতার সংজ্ঞা কবিতা সম্পর্কে মতভেদ বাংলা কবিতা কাকে বলে কবিতার বিষয়বস্তু আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য --
**বিঃদ্র-বাংলা বিভাগের সকল পড়াশোনা পেতে ব্লগটিতে যুক্তথাকুন https://monoweredu13.blogspot.com/?m=1
কবিতার সঙ্গা--
সাহিত্যের অনেকগুলো শাখার মধ্যে কবিতা অন্যতম। কবিতা কবির চিন্তা মনন,অভিজ্ঞতা র বহিঃপ্রকাশ। মানুষ প্রকৃতি আর বাস্তবতা র সকল রং এর আচর কবি তার লেখেনতে তুলে ধরেন।কবিতা কাকে বলে, এমন প্রশ্নের সঠিক বা সন্তোষজনক উত্তর দেওয়া অসম্ভব। তার সংজ্ঞা নির্ণয়ও একইরকম অসাধ্য, যদিও সর্বকালে ও সর্বদেশে তেমন অসাধ্যসাধনের চেষ্টা কম হয় নি। পণ্ডিতপ্রবর স্যামুয়েল জনসন তাঁর ‘অভিধানে’ কবিতাকে বলেছিলেন 'ছন্দোবদ্ধ রচনা? বা 'metrical composition', অন্যত্র কবিতাকে দেখেছিলেন আনন্দ ও সত্যের মেলবন্ধনরূপে-- ''the art of uniting pleasure with truth by calling imagination to the help of reason''. কবিতার সারকথা এক ‘আবিষ্কার বোধ’ বা ‘invention'. জন স্টুয়ার্ট মিল জিজ্ঞাসু ভঙ্গীতে কবিতার অন্তঃসার ধরতে চেয়েছিলেন এইভাবে – What is poetry, but the thought and words in which cmotion spontaneously embodies itself?' মেকলে বলেছিলেন। যে কবিতা বলতে আমরা সেই শিল্পকে বুঝি যেখানে শব্দ এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যাতে পাঠকের বল্পনালোকে ঐ শব্দবাজি একটি চিত্রিত সৌন্দর্যের বিশ্ব উন্মুক্ত করে দিতে পারে; চিত্রকর দিয়েষা করেন, কবি তাই করে থাকেন শব্দের মাধ্যমে। কার্লাইল তাঁর ‘বীর-গাথার অন্তর্গত ‘হিরো অ্যাজ পোয়েট’ বক্তৃতায় কবিতাকে অভিহিত করেছিলেন 'গীতল চিন্তা' বা 'Musical Thought' রূপে।ওয়ার্ডসওয়ার্থ-সুহৃদ কোলরিজের কাছে কবিতা হোলো ‘সেরা শব্দসমূহের শ্রেষ্ঠ বাণীবিন্যাস' (Best words in the best order) কবিতার স্থান বিজ্ঞানের বিপরীত মেরুতে; তার উদ্দেশ্য আনন্দবিধান, সত্যের প্রতিষ্ঠা নয়। ক্রান্তদর্শী শেলির ভাবনায় 'কল্পনার অভিব্যক্তিই কবিতা' (the expression of c the imagination), সৌন্দর্যতাপস কিসের সংক্ষিপ্ত বান্ধে – 'line excess নন্দনবাদী লেখক ও কবি এডগার অ্যালান পো কবিতা বলতে বুঝেছিলেন, 'সৌন্দর্যের ছন্দিত সৃজন হয় (the thy thmic creation of beauty). ভিকটোরীয় যুগের কবি-সমালোচক ম্যাথু আরনল্ডের অভি বিবেচনায় কবিতা ছিল 'জীবনের সমালোচনা' –
'Poetry is at bottom a criticism of life under the conditions fixed for such a criticism by the laws of poctic turth and poetic beauty.'
ওয়াট্স-ডানটন কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন---- ‘আবেগমণ্ডিত ও ছন্দিত ভাষায় মানবমনের মূর্ত ও শিল্পিত প্রকাশ রূপে (the concrete and artistic expression of the human mind in emotional and rhythmical language).
কবিতার বৈশিষ্ট্য ---
আগেই বলা হয়েছে কবিতা হচ্ছে কবির চিন্তা মনন এর বহিঃপ্রকাশ। তিনি মানুষ প্রকৃতি এবং জগতের সকল বিষয়, বস্তু কে তার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে পাঠক আর তার বিষয়ের সাথে একটি অদৃশ্য সম্পর্ক সৃষ্টি করবেন। কবি তাঁর অন্তলোক থেকে শব্দ আহরণ করে তাঁর কল্পনায় গড়ে তুলবেন এক রসাত্মক, সুষমামণ্ডিত বাণীমূর্তি যা পাঠককে সন্ধান দেবে আনন্দলোকের। তবে কি তারে ও কল্পনার উপস্থিতি কবিতা হিসেবে কোনও একটি রচনাকে চিহ্নিত করার সহজ ও একমাত্র ছাড়পত্র? কল্পনার প্রাচুর্য, আবেগমণ্ডিত ভাষা, ছন্দোময়তা ইত্যাদি কবিতার উপাদান বলে গণ্য হলেও কবিতার সনাক্তকরণে এগুলিই চূড়ান্ত নয়। এমন গদ্যও আদৌ দুর্লভ নয় যাতে কবিতার এই লক্ষণসমূহ সহজেই নজরে আসে। অন্যপক্ষে, কবি-কল্পনার বিস্তার ও মানুষ, আবেরে আধিপত্য, ছন্দের কারিকুরি ব্যতিরেকেও কবিতার জন্ম অসম্ভব বা বিরল নয়। তবু গদ্য কবিতার মধ্যে একটি ভেদরেখা থাকেই, যা খুব প্রকট বা সুনির্দিষ্ট না হলেও একেবারে অদৃশ্য হয়ে যায় না। আসলে শব্দের অপরিহার্য বিন্যাসে, সুর-লয়-তালে, কবিতার একটি বিশেষ রূপময় শরীরী অস্তিত্ব আছে। বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য বিচার বা আরোপ করে তাই কবিতাকে বোঝা মুশকিল।
***তথ্য সংগ্রহ --
(সাহিত্যের রুপ -রীতি ওঅন্যান্য প্রসঙ্গ--কুন্তল চট্টোপাধ্যায়)
0 মন্তব্যসমূহ