অপরাধ ও অপরাধীর মনস্তত্ত্ব নিয়ে এটি চমৎকার একটি উপন্যাস।
একজন মানুষ অপরাধ কেন করে? অপরাধ করার সময় তার মস্তিষ্কের অবস্থা কি রকম থাকে? সে কি স্বেচ্ছায় অপরাধ করে নাকি কোন বিশেষ মতবাদের দ্বারা চালিত হয়ে অপরাধ করতে বাধ্য হয়?
এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর উপন্যাস টি তে পাওয়া যাবে। অপরাধ করার পর অপরাধীর মানসিক অবস্থা কি রকম হয়? অপরাধের সাথে জড়িত ব্যাক্তির আত্মিয়-স্বজন দের ওপর এর কি রকম প্রভাব পড়ে?এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন লেখক ফিওদর দস্তয়ভস্কি।
তবে,উপন্যাসের চরিত্র গুলোর রুশ নাম গুলো একটা বড় ধরনের সমস্যা। যাকে বলে, "রিয়েল পেইন ইন দ্য নেক।" পড়তে পড়তে চরিত্র গুলোর একের সাথে অন্যকে গুলিয়ে ফেলতে পারে যে কেউ।
প্রত্যেকটি চরিত্র তৈরিতে লেখক তার অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গল্পের মূল চরিত্র গুলোকে লেখক অন্যান্য চরিত্রের চেয়ে অনেক আবেগপ্রবণ ও অসহায় করে তৈরি করেছেন। তারা ভাগ্যের কাছে নির্মমভাবে নিষ্পেষিত।
গল্পের নায়ক - নায়িকা, এবং তাদেরকে ঘিরে যেসব চরিত্র তৈরি হয়েছিল তাদের প্রত্যেকের ই রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য।
এই গণ্ডির বাইরে গিয়ে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং দুটি চরিত্র হচ্ছে ; পোরফিরি পেত্রোভিচ (শার্লক হোমস্ এর মতো তুখোড় একজন রহস্য ভেদী) এবং সুভাইদ্রেগেইলভ।
**চরিত্রসমুহঃ
(১)রদিও রোমানভিচ রাস্কল্নিকভ - উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। ২৩ বছর বয়সী প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে বঞ্চিত। দেখতে খুবই সুদর্শন, স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা, কালো চোখ ও গাঢ় বাদামি চুলের অধিকারী।
(২)সোফিয়া সেমিওনভনা মার্মেলাদোভা - সোনিয়া ও সোনেচ্কা নামেও পরিচিত, সেমিওন জাখারভিচ মার্মেলাদোভের মেয়ে, যার সাথে উপন্যাসের শুরুতেই রাস্কল্নিকভের দেখা হয়।
(৩)আভদত্য রোমানভা রাস্কল্নিকভা - রাস্কল্নিকভের কর্তৃত্বপূর্ণ কিন্তু দরদী বোন, তাকে দুনইয়া বা দুনেচ্কা নামেও ডাকা হয়।
(৪)পুলখেরিয়া আলেক্সাদ্রভনা রাস্কল্নিকভা - রাস্কল্নিকভের দূরসম্পর্কের আত্মীয় এবং স্নেহবতী মা।(৫)দিমিত্রি প্রকফিচ ভ্রাজুমিখিন - রাজুমিখিন নামেও পরিচিত, রাস্কল্নিকভের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং প্রাক্তন আইনের শিক্ষার্থী।
**রিভিউ প্রদানকারী --
0 মন্তব্যসমূহ