Hot Posts

6/recent/ticker-posts

গীতিকবিতা কি?এর প্রকারভেদ

--গীতিকবিতা কি এর প্রকারভেদ গীতিকবিতা কাকে বলে গীতিকবিতা কয়প্রকার  ওড কাকে বলে এলিজি শোক কবিতা কাকে বলে সনেট কি কত প্রকার চতুর্দশপদী কবিতা কাকে বলে হাইকু--
**বিঃদ্র-বাংলা বিভাগের সকল পড়াশোনা পেতে ব্লগটিতে যুক্তথাকুন https://monoweredu13.blogspot.com/?m=1 
 সাহিত্যের অনেকগুলো শাখার মধ্যে কবিতা অন্যতম। কবিতা কবির চিন্তা মনন,অভিজ্ঞতা র বহিঃপ্রকাশ। মানুষ প্রকৃতি আর বাস্তবতা র সকল রং এর আচর কবি তার লেখেনতে তুলে ধরেন।কবিতা কাকে বলে, এমন প্রশ্নের সঠিক বা সন্তোষজনক উত্তর দেওয়া অসম্ভব। তার সংজ্ঞা নির্ণয়ও একইরকম অসাধ্য, যদিও সর্বকালে ও সর্বদেশে তেমন অসাধ্যসাধনের চেষ্টা কম হয় নি। পণ্ডিতপ্রবর স্যামুয়েল জনসন তাঁর ‘অভিধানে’ কবিতাকে বলেছিলেন 'ছন্দোবদ্ধ রচনা? বা 'metrical composition', অন্যত্র কবিতাকে দেখেছিলেন আনন্দ ও সত্যের মেলবন্ধনরূপে-- ''the art of uniting pleasure with truth by calling imagination to the help of reason''.

বিষয়, শৈলী, মনোভঙ্গীর বিভিন্নতায়, আবার ও আয়তনে। মোটের ওপর তার দু'টি প্রকারভেদ - 

(১)মন্ময় বা গীতিকবিতা ( Subjective / Lyrical) 

(২)তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ কবিতা (Objective / Impersonal

**মন্ময় বা গীতিকবিতা ( Subjective / Lyrical) ---

যে কবিতা মুলতঃ আত্মাভাবনামূলক, যাতে কবি ডুব দেন তাঁর আপন মন ও মননের গভীরে, তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞত এ অনুভূতিসমূহের মধ্য থেকে খুঁজে পান তাঁর বিষয় ও তাকে রূপায়িত করার প্রেরণা, অ হোলো মন্ময় তথা ব্যক্তিনিষ্ঠ বা গীতিকবিতা।

***প্রকারভেদ--

গীতিকবিতা মুলত ৬ প্রকার-

(১)ওড বা স্তোত্রকবিতা(Ode)

(২.)ব্যালাড বা গাথাকবিতা(Ballad)

(৩)এলিজি বা শোকগাথা(Elegy)

(৪)সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা (sonnet)

(৫) রাখালিয়া কাব্য (pastoral)

(৬)হাইকু(haiku)

** (১)ওড বা স্তোত্রকবিতা(Ode)--

প্রাচীন গ্রীসে ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান উপলক্ষে সঙ্গীত ও নৃত্য সহযোগে গাওয়া হতো যেসব স্তুতিমূলক গান সেগুলিই ছিল 'ওড' বা স্তোত্রকবিতার আদি রূপ। গ্রীক বীরদের অসামান্য কীর্তিসমূহকে স্বাগত স্বীকৃতি জানিয়ে খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে কবি পি (Pindar) চনা করেছিলেন এমন স্তোত্রকবিতা যা’ দীর্ঘ, ভাবগভীর এবং 'Strophe' (turn) 'Anti-stro phe' (Counter-turn) – Epode' (after song)-এর জটিল ত্রিস্তর হবে বিন্যস্ত। যেমন--শেলির 'ode to the west wind',,কীটস এর 'Ode to a nightingle'

(২)ব্যালাড (Ballad) বা গাথা কবিতা :

গাথাকবিতা বা ‘ব্যালাড’-এর শিকড় প্রাচীন লোক সংস্কৃতিতে। নৃত্য সহযোগে গাওয়া হয়ে এমন কোন গান যা’ জনপ্রিয় কোন উপকথাকে নাটকীয় ভঙ্গীতে পরিবেশন করতো, তবে বলা হোতো গাথাকবিতা (ফরাসী ‘Baller' অর্থে নৃত্য)। সহজ, সরল, স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনা ও সজীব সংলাপের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-বিশেষের প্রশংসা বা সমালোচনা করে মুখে হা গীত ও প্রচারিত হোতো গাথাকবিতা।

**(৩)এলিজি বা শোকগাথা(Elegy)

শেষ কবিতা বা ‘এলিজি'মন্ময় কবিতার এক প্রাচীন ও বিশিষ্ট রূপ। প্রাচীন গ্রীক ও রোমক সাহিত্যে 'clcgiac couplet' বলে পরিচিত ছিলো এমন যুগলচরণ যার প্রথমটি 'dactylic hexameter" ও পরেরটি 'dacty lic pentameter-এ রচিত হোতো। এই বিশেষ কাপলেটে লেখা যে কোনো কবিতাকেই বলা হোতো ‘এলিজি'। সপ্তদশ শতক থেকে করুণ ও গম্ভীর যে কোনো কবিতা, বিশেষতঃ মৃত্যু বা অনুরূপ শোক বিষয়ক রচনা, ‘এলিজি' নামে অভিহিত হয়ে থাকে। যেমন --মিলটনের লিপিডাস (Lycidas. 1637)

**(৪). সনেট ( Sonnet) বা চতুর্দশপদী কবিতা :

ইংরেজ কবি কোরিয়া 'সনেট' বলতে বুঝেছিলেন এমন একটি ক্ষুদ্র কবিতা যাতে একটি অখণ্ড ও সংহত ভাবকল্পনা বা অনুভূতি আত্মপ্রকাশ করে— A small poem in which some lonely feeling is developed মন্ময় কবিতার এই বিশেষ রূপ 'সনেট', যে শব্দটির উদ্ভব ইতালীয় ‘সনেটো’ বা ‘মৃদুধ্বনি” থেকে। ইতালীতে নব-জাগরণের যুগসন্ধিতে চতুর্দশ শতকে কবি পেত্রার্ক (Petrarch) 'সনেটের' জন্ম দেন। অন্যান্য সনেট রচয়িতাদের মধ্যে কীর্তিমান দান্তে (Dante) এবং ট্যাসো (Tasso) ছিলেন পেত্রার্কীয় আদর্শের অনুসারী। সনেট এ দুটি অংশ - অষ্টক ও ষটক।

 (৫)রাখালিয়া কাব্য - কবিতা (Pastoral Poetry / Belogues): 

শোক কবিতা বা 'এলিডি'র আলোচনা প্রসঙ্গে রাখালিয়া কাব্য-কবিতা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রাচীন গ্রীসে থিওক্রিটাস ও অন্যান্য সিসিলীয় কহিবা সহজ ও সাবলীল গ্রাম-জীবন ও মেষপালকদের গৌরবমণ্ডিত করে রচনা করতেন নাতিদীর্ঘ কবিতা যাকে বলা হত Idyll', থিওক্রিটাসের 'Idylls' এর অনুকরণে কবি ভার্জিল লিখলেন রাখালিয়া সংলাপ বা একোক্তি।

৬. হাইকু (Haiku):

ষোড়শ শতকে জাপানে তিন পংক্তির এক অতি-সংক্ষিপ্ত কবিতার উদ্ভব হয়েছিল যার নাম “হাইকু”। কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য বা বস্তুকে নিয়ে চবিত্র ও ঘনসংদ্ধে কবিতা ছিল ‘হাইকু', যার গঠন ছিল সুনির্দিষ্ট। মোট সতেরটি শব্দাংশ (Syllable) যথাক্রমে পাঁচ, সাত ও পাঁচ, এইরকম ভাগে তিনটি চরণে বন্টিত হোতো। প্রথমে ‘হাইকু ছিল দীর্ঘতর কাব্যরূপ 'হাইকাই' (Haikai)-এর প্রারম্ভিক স্তবক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ