Hot Posts

6/recent/ticker-posts

ব্যালাড(Ballad) বা গাথা কবিতা

 

---ব্যালাড Ballad গাথা কবিতা বলতে কী বোঝ?ব্যালাড কী গাথা কবিতা কাকে বলে? গাথা কবিতার বৈশিষ্ট্য  সাহিত্যের রুপ-রীতি আধুনিক কালের গাথা কবিতার পরিচয়---
**বিঃদ্র-বাংলা বিভাগের সকল পড়াশোনা পেতে ব্লগটিতে যুক্তথাকুন https://monoweredu13.blogspot.com/?m=1 

সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা হলো কবিতা।প্রাচীন বেশিরভাগ সাহিত্য কর্ম কবিতার মাধ্যমে রচনা করা হতো।পণ্ডিতপ্রবর স্যামুয়েল জনসন তাঁর ‘অভিধানে' কবিতাকে বলেছিলেন 'ছন্দোবদ্ধ রচনা? metrical composition'. অন্যত্র কবিতাকে দেখেছিলেন আনন্দ ও সত্যের মেলবন্ধনরূপে— the art of uniting pleasure with truth by calling imagination to the help of reason". কবিতায় সারকথা এক 'আবিষ্কার বোধ' বা 'invention', জন স্টুয়ার্ট মিল জিজ্ঞাসু অঙ্গীতে কবিতার অন্তঃসার ধরতে চেয়েছিলেন এইভাবে – 'What is poetry, but the thought and words in which cmotion spontaneously embodies itsell?" মেকলে বলেছিলেন যে কবিতা বলতে আমরা সেই শিল্পকে বুঝি যেখানে শব্দ এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যাতে পাঠকের কল্পনালোকে ঐ শব্দরাজি একটি চিত্রিত সৌন্দর্যের বিশ্ব উন্মুক্ত করে দিতে পারে। 

কবিতার প্রকারভেদ এর মধ্যে, ব্যালাড(Ballad) বা গাথা কবিতা অন্যতম।
**ব্যালাড (Ballad) বা গাথা কবিতা :
গাথাকবিতা বা ‘ব্যালাড’-এর শিকড় প্রাচীন লোক সংস্কৃতিতে। নৃতা সহযোগে গাওয়া হোতো এমন কোন গান যা জনপ্রিয় কোন উপকথাকে নাটকীয় ভঙ্গীতে পরিবেশন করতো, তাকেই বলা হোতো গাথাকবিতা (ফরাসী ‘Baller' অর্থে নৃত্য)। সহজ, সরল, স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনা ও সজীব সংলাপের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশেষের প্রশংসা বা সমালোচনা করে মুখে মুখে গীত ও প্রচারিত হোতো গাথাকবিতা। মূল রচয়িতা থাকতেন অখ্যাত ও অজ্ঞাত ; গাথাগায়কের কথা ও সুরের নানা রদবদলের মধ্য দিয়ে ব্যালাড ক্রমেই রূপান্তরিত হতে থাকতো। নাটকীয়তা,
চরিত্র-চিত্রণ ও উপস্থাপনার নৈর্ব্যক্তিকতা ছিল এ জাতীয় লোককাব্যের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। পরপর চতু' Quatrain সাজিয়ে তোলা হয় 'হ্যালাডের' অব আর প্রতি ‘চতুর দ্বিতীয় ও চতুর্থ পংক্তি মিল থাকে ---কখগঘ,ঘঙচঙ ইত্যাদি। প্রতি 'চতুদো চার ও তিন্ন মাত্রার লাইন ঘুরে ফিরে ব্যবহৃত হয়। বিখ্যাত স্কটদেশীয় গাথাকবিতা Bomy Barbara Allan থেকে উদ্ধৃত এই চতুস্কটি দেখা যাক :

"It was in and about the Martinmas time. When the green leaves were afalling. That Sir John Graeme in the West Country.
Fell in love with Barbara Allan".

গল্পের সেই গানের সুর, ছন্দের দোলা এবং স্তবক বিন্যাস 'বালাডের চেহারা ও মেজাজ স্পষ্ট করে তোলে। বাংলায় জনপ্রিয় ও প্রচলিত ‘ব্যালাড' হিসেবে ময়মনসিংহগীতিকা, গোপীচাঁদের গীত, রবীন্দ্রনাথের বন্দীবীর প্রভৃতির নাম করা যেতে পারে।বাংলা ভাষাতেও রবীন্দ্রনাথের স্পর্শমণি', 'স্পণরক্ষা', সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ইনসাফ ইত্যাদি ‘সাহিত্যিক থাকবির নিদর্শন।ময়মনসিংহের নিরক্ষর কৃষিজীবী মানুষদের মুখে মুখে গাওয়া গীতি-আখ্যায়িকার সংগ্রহ হিসেবে। খ্যাত ময়মনসিংহ-গীতিকা গাথাকবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তিরূপে চিহ্নিত।
***তথ্যসংগ্রহ---
((কুন্তল চট্টোপাধ্যায়--সাহিত্যের রূপ-রীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ))

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ