Hot Posts

6/recent/ticker-posts

জিউস / তার পরিবার/হীরা

 

((জিউস / তার পরিবার/হীরা জিউস কে?গ্রিক দেবতার নাম,,হীরা,জিউস এর পরিবার জিউস এর কন্যাগন

জিউসের ধর্ম hera

Geus গ্রিক দেবতা জিউস 

জিউসের স্রী, জিউসের পরিচয়

জিউস / তার পরিবার/হীরা))

**বিঃদ্র-বাংলা বিভাগের সকল পড়াশোনা পেতে ব্লগটিতে যুক্তথাকুন https://monoweredu13.blogspot.com/?m=1 

দেবতারা বিশ্বসৃষ্টি করেছেন একথা গ্রীকরা বিশ্বাস করত না। তাদের বিশ্বাস ছিল বরং উল্টো— বিশ্বই সৃষ্টি করেছে দেবতাদের স্বর্গ এবং মর্ত্যের সৃজন হয়েছে দেবতাদেরও আগে। আদিতে ছিলেন আদি জনক ও জননী। তাঁদের সন্তান হলেন টাইটানরা (Titan), আর দেবতারা হলেন তাঁদের নাতি-নাতনী।

দ্বাদশসংখ্যক অলিম্পীয় গড়ে তোলেন এক দেব-পরিবার ঃ (১) জিউস (জুপিটার) দেবরাজ। তার দুই ভাই (২) পসাইডন (রোমান নাম- নেপচুন) এবং (৩) হেডিস্, অন্যনাম প্লুটো। (৪) হেসুটিয়া, জিউসের ভগ্নি; (৫) হীরা (রোমান নাম-জুনো), জিউসের পত্নী; (৬) অ্যারিস) (রোমান নাম- মারস্), জিউস-হীরার পুত্র। জিউসের

অন্যান্য সন্তান (হীরার নয়) (৭) এখিনা] (রোমান নাম-মিনার্তা) (৮) আপোলো, (৯) আফ্রোদিতি (রোমান নাম-না) (১০) সি (রোমান নাম-মারকারি) এবং (১১) আর্টেমিস্ (রোমান নাম-ডায়ানা)। এছাড়া (১২) হেফ্যাটস (রোমান নাম-ভালুকান), হীরার পুজ, তবে কখনও কখনও তাকে জিউসেরও পুত্র বলে ভাবা হয়।

জিউস্(Zeus)(জুপিটার) এবং তাঁর ভাইদের মধ্যে একবার হলো ভাগ্য নির্ধারণী খেলা, বিশ্বব্রহ্মারের কোন কোন অংশ কে কে পাবে তাই নিয়ে। পসাইডনের ভাগে পড়লো সমূদ্র মিতালপুরী গেলো হেডিসের অংশে, আর জিউস্ হলেন সর্বময় শাসনকর্তা তথা দেবরাজ। তিনি আকাশের অধীশ্বর, বর্ষণের দেবতা এবং মেঘপুঞ্জসৃজনকারী, ভয়াবহ বজ্র তাঁর হাতে। অন্য সকল দেবদেবীর মিলিত ক্ষমতার চেয়ে ক্ষমতাবান জিউস্। ইলিয়াডে জিউস্ বলেন, “আমি সকলের চেয়ে শক্তিধর। আমার শক্তি দেখতে চাও তো পরীক্ষা করো। স্বর্গের চারদিকে স্বর্ণরজ্জু পেঁচিয়ে নাও এবং তোমরা সব দেবদেবীরা সেই রশি টেনে ধরো। তোমরা জিউসকে টেনে নামাতে পারবে না। কিন্তু আমি যদি টেনে নামাতে চাই তোমাদের, আমি পারবো। আমি দড়ি বাঁধবো অলিম্পাসের চূড়ায়, আর তোমরা সবাই, হ্যাঁ, পৃথিবী ও সমুদ্রও তখন আকাশে ঝুলতে থাকবে।"

এতৎসত্ত্বেও জিউস্ কিন্তু সর্বশক্তিমান কিংবা সর্বজ্ঞানী নন। তাঁর বিরোধিতা করা যায় এবং তাঁকে প্রতারণাও করা যায়। পসাইডন তাকে বোকা বানায় ইলিয়াড মহাকাব্যে; হীরা ও নিয়তি নামক এক রহস্যময় শক্তিকেও প্রায়শ তাঁর চেয়ে শক্তিমান ভাবা হয়। হোমার হীরাকে দিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক প্রশ্ন করান, জিউস্ কি চান মৃত্যু থেকে এমন একজনকে মুক্তি দিতে নিয়তি যাকে ইতোমধ্যে গ্রাস করেছে ?

জিউস্ একের পর এক নারীর সাথে প্রেমলীলায় মত্ত হন, এবং স্ত্রীর নিকট এই অবিশ্বস্ততাকে গোপন করার জন্য হেন কৌশল নেই যা তিনি অবলম্বন করেন না। সবচেয়ে রাজকীয় এই দেবতা সম্পর্কে এ ধরনের কাহিনী কেন চালু হয়েছে সে সম্পর্কে। পণ্ডিতদের মত হলো, কাহিনী এবং গানে যে জিউসের চিত্র আঁকা হয়েছে তা আসলে বেশ কয়েকজন দেবতার কাহিনীর মিলিত রূপ। ধরা যাক, একটি শহরে আগে থেকেই একজন দেবতার অধিষ্ঠান, পুজা-পার্বণ হয়ে থাকে। সেখানে যখন নতুন করে জিউসের পুজা শুরু হয় তখন ঐ দুই দেবতা এক হয়ে মিলেমিশে যান। পূর্বতন দেবতার পত্নীকে তখন গণ্য করা হয় জিউসের স্ত্রীরূপে। এর ফলাফল, অবশ্য, হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক, কেননা পরবর্তী গ্রীকরা এরকম অনন্ত প্রেমলীলায় মত্ত জিউসকে মোটেই পছন্দ করেননি।

তবু, এমনকি আদিতম বর্ণনাতেও জিউসের ঔজ্জ্বল্যের কমতি নেই। ইলিয়াড মহাকাব্যে আগামেমননের প্রার্থনা : “হে জিউস্, সর্বোচ্চ গৌরবান্বিত, মহত্তম, ঝঞ্ঝা মেঘের দেবতা, তুমি স্বর্গলোকে অধিবাস করো।" জিউস্ মানুষের কাছে কেবল উৎসর্গই দাবী করতেন না, যথাযথ কার্যও আশা করতেন। ট্রয়ের যুদ্ধে অংশ নেয়া গ্রীক

সেনাবাহিনীকে বলা হয়- “পিতা জিউস্ মিথ্যাবাদীকে এবং শপথভঙ্গকারীকে কখনও সাহায্য করেন না।" জিউস্ সম্পর্কে দু'ধরনের অর্থাৎ উচ্চ এবং নীচ ধারণা পাশাপাশি বয়ে চলেছে বহুকাল।

জিউসের বক্ষবর্মটি ছিল ভয়ালদর্শন। তাঁর পক্ষী ঈগল) তাঁর বৃক্ষ ওক গাছ। ওবৃক্ষ সুশোভিত ডোডনায় অবস্থিত তার অরাকল অর্থাৎ দৈববাণী। জিউসের অভিপ্রায় প্রকাশিত হতো শুক্‌ গাছের পাতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে; পুরোহিতরা তার অর্থ উদ্ধার করে মানুষদের জানাতেন।


হীরা (জুনো)--


ইনি জিউসের স্ত্রী এবং ভগ্নি। টাইটানদ্বয় ওশান এবং টেথিস (Ocean. Tethys) তাঁকে লালন পালন করেন। হীরা (Hera) হলেন বিবাহের রক্ষাকর্ত্রী; বিবাহিত নারীকুল তাঁর আশ্রিতা। কবিরা এই দেবীর যে চিত্র এঁকেছেন তাতে খুব আকর্ষণীয় কিছু নেই। একটি পুরনো কবিতায় অবশ্য তাকে বলা হয়েছে,


"স্বর্ণসিংহাসনাসীনা হীরা, অমর দেবকুলে রানী,

সৌন্দর্য্যে প্রধানা তিনি, এই মহিমাময়ী দেবী যাকে অলিম্পাসবাসী সব অমর্ত্যরা ভক্তি করে, ठिक

যেমন সম্মান করে জিউস্কে, যিনি বজ্রের মালিক"।


কিন্তু যখনই হীরা দেবীর কোনো বিস্তারিত বিবরণ দেখি, তখনই পাই এক ক্রুদ্ধ, প্রতিশোধপরায়ণা দেবীকে যিনি মূলত স্বামী জিউসের বিবিধ প্রণয়নীকে শাস্তি দিচ্ছেন। যদিও এরা বেশিরভাগ সময়ই জিউসের শক্তি অথবা প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মদানে বাধ্য হয়েছিল। এরা জিউসের সাথে প্রণয়লীলায় কতটা নিস্পৃহ কিংবা নিরপরাধ ছিল তাতে হীরার কিছু যায় আসে না। দেবী তাদের সবাইকে সমানভাবে নিগৃহিত করেন। তাঁর অনিঃশেষ ক্রোধ অনুসরণ করেছে তাদের, তাদের সন্তানদের। এই দেবী ভুলেন নি তার প্রতি তুচ্ছতম অবমাননা । দু'পক্ষকেই সমানভাবে অপরাজিত রেখে ট্রয়ের যুদ্ধ শেষ হতে পারত যদি দেবী হীরা চাইতেন। কিন্তু ট্রয়ের যুবরাজ প্যারিসকে ক্ষমা করতে পারেননি তিনি; প্যারিসই সেই বিখ্যাত সুন্দরী প্রযোগিতায় (হীরা, এথিনা এবং আফ্রোদিতির মধ্যে) তাঁকে বাদ দিয়ে সোনার আপেলটি তুলে দিয়েছিল আরেক দেবীর (আফ্রোদিতি) হাতে। ট্রয় নগরী ধুলিসাৎ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সৌন্দর্যের এই অবমাননার জ্বালা ভুলতে পারেননি দেবী হীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী স্বর্ণলোম-সন্ধানের কাহিনীতে হীরা বীর অভিযাত্রীদের রক্ষাকর্ত্রী এবং বীরত্বমূলক কাজের উৎসাহদাত্রী। প্রতিটি গৃহে তাঁর পুজা হত; বিবাহিত রমণীরা তাঁর কাছেই প্রার্থনা করত বিপদে-আপদে। সন্তান প্রসবের সময় সহায়তাকারী দেবী ইলিথিয়া (Ilithyia অথবা Eileithyia) দেবী হীরার কন্যা। গাভী এবং ময়ুর হীরার কাছে পবিত্র। আর্গোস ছিল তাঁর প্রিয় নগরী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ