Hot Posts

6/recent/ticker-posts

সাম্প্রতিক ধারার কথাসাহিত্য আলোচনা

সাম্প্রতিক ধারার সাহিত্য বলতে কী বুঝ

সাম্প্রতিক ধারার কথাসাহিত্য

সাম্প্রতিক ধারার উপন্যাস

সাম্প্রতিক ধারার গল্প

সাম্প্রতিক ধারা

বাংলাদেশের নগরায়নের সাম্প্রতিক ধারা

সামাজিক ইতিহাসের সাম্প্রতিক ধারা

বাংলাদেশের অপরাধের সাম্প্রতিক ধারা

:: সাম্প্রতিক ধারার কথাসাহিত্যে বিভিন্ন পেশা- জীবী সম্প্রদায় কীভাবে উঠে এসেছে? আলোচনা কর ।


উত্তর : ভূমিকা : কথাসাহিত্য বলতে উপন্যা স ও ছোটগল্পকে বোঝায়। উপন্যাস বলতে এমন একটি বিশেষ সাহিত্য সৃষ্টিকে বোঝায়, যাতে লেখকের জীবনদর্শন ও জীবনানুভূতি কোনো বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে বর্ণনাত্মক শিল্প কর্মে রূপায়িত হয়। আর বাংলা সাহিত্যের আধু নিকতম শাখা হলো ছোটগল্প। ছোটগল্প আকারে ছোট, তাই এতে জীবনের পূর্ণাবয়ব আলোচনা থাকে না। জীবনের খণ্ডাংশকে লেখক যখন রসনিবিড় করে ফুটাতে পারেন, তখনই এর সার্থকতা। সুতরাং উপন্যাস ও ছোটগল্পের আকৃতি ও প্রকৃতিগত বেশকিছু পার্থক্য বিদ্যমান। উপন্যাসে যেখানে বৃহত্তর পরিবেশে জীবনের পূর্ণাঙ্গ পরি চয় রূপলাভ করে, সেখানে ছোটগল্পে থাকে কোরে কোনো চরিত্রের একটিমাত্র দিকের প্রতিফলন

সাম্প্রতিক ধারার কথাসাহিত্যে বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায় :

 আমাদের সাম্প্রতিক সাহিত্যের যে অংশটি গদ্যের দ্বারা বাহিত হচ্ছে, বিশেষ করে গল্প ও উপন্যাস, তা বেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে। ঔপ- ন্যাসিকদের বিশাল একটি দল ক্রমাগত ঋদ্ধ করে চলেছেন আমাদের কথাসাহিত্যকে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এবং আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের হাত ধরে সামগ্রিক বাংলা ভাষার উপন্যাসে বাংলাদেশের উপন্যাসের অগ্রযাত্রা। সে যাত্রায় পরীক্ষিত স্বজাধারী যেমন আছেন, তেমনি শক্তি মান নতুন অভিযাসীও যুক্ত হয়েছেন সময়ের সাথে সাথে।

আবার বাংলাদেশের জীবনের পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে গল্পের বিষয়েও এসেছে বৈচিত্র্য। একদিন বাংলার পল্লীপ্রকৃতি আর মানুষ গল্পে স্থান পেয়েছে। পরবর্তীকালে নগরমুখী মানু- ষের সুখ-দুঃখ, আনন্দবেদনা হয়েছে ছোটগল্পেরউপজীব্য। কৃষিভিত্তিক জীবনাচরণে এসেছে শিল্পের প্রভাব। আধুনিক জীবনের নানা সমস্যা এখন চারদিকে প্রকট। ছোটগল্প এসব কোনো কিছু উপেক্ষা করতে পারে না বলে বাংলা দেশের ছোটগল্পের বিষয় বৈচিত্র্য সহজেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

সাম্প্রতিক ধারার উপন্যাসে বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায় : আম্প্রতিককালে বাংলাদেশের উপন্যা- সের ধারা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। গল্পীজীবন ও নাগরিক জীবন ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ধারার উপন্যাসে বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায়ের জীবনচিত্র লক্ষ করা যায়।

হরিশংকর জলদাস (১৯৫৫) বলেন - 'আমি ওরকম নমঃশূদ্র ঘরে জন্মেছি'। এ দায়বোধে জেলে সম্প্রদায়ের জীবনের অপ্রাপ্তি, প্রাপ্তির উল্লাস, শোষণের হাহাকার, অশিক্ষার অন্ধকার।সবই অসাধারণ বিশ্বস্ততার সঙ্গে লিখেছেন 'জলপুত্র' (২০০৮) উপন্যাস। এই উপন্যাসটি জেলেনারীর সংগ্রামশীল জীবনের ইতিহাস যেমন, তেমনি একজন জলপুত্রের অধিকার- সচেতন হয়ে ওঠার কাহিনীও বটে। এই উপন্যাস কৈবর্তসমাজ তার সকল প্রকার সংগতি অসংগতি নিয়ে উপস্থিত ।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা গ্রামের জলপুত্র হরিশংকর জলদাস তাঁর স্বসমাজের জীবন ও সামাজিক অবস্থানের গুনর্মূল্যায়ন করেছেন এ উপন্যাসে। 'জলপুত্র' এর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে তাঁর জীবন অভিজ্ঞতার নির্ভেজাল ও বাস্তব সত্য। জেলে পল্লীর বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন " উত্তর পতে- ঙ্গা হতে মিরসরাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের কূলে কূলে অনেক জেলেপল্লী। উত্তর পতেঙ্গা হরিশহর, কাট্টালী, খেজুরতলী, ভাটিয়ালি, কুমিরা, সীতাকুণ্ডু, মিরসরাই ইত্যাদি গ্রামেরজেলে পাড়াগুলো সমুদ্রের কোল ঘেঁষেই পড়ে

উঠেছে।"

এ উপন্যাসে এসেছে জেলেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন। দেখানো হয়েছে একে- বারে প্রান্ত সমাজে অবস্থিত মাৎস্যন্যায়প থা।

তেমনি তাঁর আর একটি উপন্যাস 'দহন-কাল' (২০০৯)। ‘দহনকালে’র কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে

আছে বঞ্চিত লাঞ্ছিত জেলে সম্প্রদায়, আছে তাদের প্রতিবাদ-প্রতিশোধ আর আছে মুক্তিযুদ্ধ। সমুদ্রসংগ্রামী ও নদীলগ্ন মানুষ - দের অর্থাৎ জেলেদের অঙ্গ-নৈঃসঙ্গ জীবন- মৃত্যু একাকার হয়ে আছে এ উপন্যাসে। দহনকালের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে জেলে- রা একাত্তরের পাদদেশে এসে উপস্থিত হয়। নির্জীব, নির্বীর্য, নিথর উত্তর পতেঙ্গীর জেলে পল্লীটি পাকসেনাদের অত্যাচার-বর্বরতায়জেগে ওঠে। মা, বোন, স্ত্রীর ইজ্জত রক্ষা করতে হরিদাস-রাধেশ্যাম - বুইজ্যারা হাতে অস্ত্র তুলে নেয় নিজেদের অজান্তে পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে পড়ে মুক্তিসংগ্রামে। জেলেদের জীবনে আরেক দহনকাল শুরু হয় |

তাঁর 'কসবি' (২০১১) উপন্যাসটি পতিতাদের জীবন নিয়ে রচিত। গণিকাদের রক্ত পুঁজময় পাওয়া না পাওয়ার জীবন এ উপন্যাসে রূপা য়িত। কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী বাংলাদেশের একটি বেশ্যাপল্লী - চট্টগ্রামের আহেবপাড়া । প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই পল্লীকে কেন্দ্র করে সতের পর্বের 'কসবি' উপন্যাস-

টি রচিত।

মঞ্জু সরকার (১৯৫৩) নিছক কাহিনী নয়, কৃষি-নির্ভর বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের ভেতরের সমস্যা ও সম্ভাবনার রূপটি তিনিতুলে আনেন। উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষিজী- বী মানুষের ভেতরের সমস্যা ও জীবনকে আধুনিক শিল্পিত দৃষ্টিতে ভুলে আনাই তাঁর প্রধান অনুপ্রেরনা। এজন্য আঞ্চলিক সংস্কৃ তির সম্বন্ধটিকে তিনি যুক্ত করেন সর্বজনীন দৈশিক আবহে। এতে করে তাঁর লেখায় আত্ম- অস্তিত্বের পরিচয়ও থাকে না অনালোকিত । তিনি প্রায় একই রীতিতে শোষণ-সমস্যার স্বরূপকে কাহিনী ভাষায় রূপ দেন।

তাঁর 'টান' (১৯৯৬) উপন্যাস ভূমিসংলগ্ন মানুষের অবলম্বন আর সেখানে রাষ্ট্রব্যবস্থা- র দাপট, গ্রামের ভুইফোঁড় প্রান্তিক কৃষি- জীবী মানুষের বিরূপ প্রতিচ্ছবি নিয়ে রচিত। মঞ্জু সরকার প্রত্যন্ত মানুষের প্রতিরোধ ও সংগ্রামের ধারাকে ভাষায় তুলে আনেন অত্যন্ত সক্রিয় ও সত্যে তাঁর ভঙ্গিটি নির্মিত।

শফিক আশরাফের ( ) 'পাউটি' (২০২৩) উপন্যাসে তাঁতশিল্পীদের যাপিত জীবনের চিত্র প্রতিবিম্বিত হয়েছে। এ উপন্যাসে মতি- উদ্দিন একজন তাঁতশিল্পী। সে ফজরের নামায পড়ে তাঁত বসায়। মতিউদ্দিনের কন্ঠে লেখক তুলে এনেছেন তাঁতিদের নিত্যদিনের জীবনাচরনের বিচিত্র চিত্র !

তাঁতিদের বয়ানশিল্পের পিছনে রয়েছে কত সংগ্রামের গল্প লেখক তা তুলে এনে ছেন 'পাউঠি' উপন্যাসে। তাঁতি ও তাঁতঘরের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন এভাবে

লম্বা তাঁতঘরে সারাদিন খটাখট শব্দে তাঁত চলছে। তাঁতঘরের গন্ধটা একটু অন্য রকম। সুতো, কাপড়, মাড় ও শ্রমি কের গন্ধে ভরপুর তাঁতঘর।”

তাঁতিরা তাঁত বুঝতো ধার দেনা করে। অনেকসময় মহাজনের কাছে বেশি দামে সুতো

কিনে

; কোনো কোনো সময় তারা বউয়ের

গয়না বিক্রি করে তাঁত বুনতো। এ উপন্যা-

সের ভেতরে আমরা তেমনই বর্ণনা পাই।

'পাউঠি' উপন্যাসের প্রথম পর্বটি হয়ে উঠেছে তাঁতিদের আত্মপরিচয়ের বিব রন, তাদের জীবন কাঠামোর গল্প। মূল- ত্রাণ পর্বটি হয়ে উঠেছে তাঁতি সম্প্রদায়ে বেড়ে ওঠা একটি সত্তা কীভাবে বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করলো তার বর্ণনা। এ উপন্যাসের তাঁতিদের সংস্কৃতি- কেও তুলে ধরা হয়েছে। মূলতান পর্বের শেষ দিকে আমরা লক্ষ করি তাঁত শিল্পে- র বিলুপ্তির দিক। সুতরাং, 'পাউচি একটি গোষ্ঠীর জীবনের লালিত স্বপ্নের সাথে

যুক্ত ।সুতরাং বলাখ যায় যে, অসাধারণ মুন্সি- রানার সাথে ঔপন্যাসিকগণ তাঁদের উপন্যাসে নানা পেশাজীবী সম্পদায়ের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন ।

সাম্প্রতিক ধারার ছোটগল্পে বিভিন্ন পেশা- জীবী সম্প্রদায় : বাংলাদেশের ছোটগল্প

এক স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী। এখানকার প্রকৃতি ও মানুষ ছোটগল্পে খুব সুন্দরভাবে বিধৃত হয়েছে। জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ- বেদনা নিয়েই এখানকার ছোটগল্প। এদেশে- র ছোটগল্পে যেমন গ্রামীণ ও শহরকেন্দ্রীক জীবনের প্রতিফলন ঘটেছে, তেমনি নানা পেশা- জীবী সম্প্রদায়েরও জীবনচিত্র অঙ্কিত হয়েছে।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (১৯৫১) প্রবল ব্যক্তিত্বে শৈলীর বুনন চালান। তিনি তাঁরতাজিওয়ালা পেশাজীবী, হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মানুষের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন। পাঠ অভি জ্ঞতা তাঁর অনেকমুখি, বিচিত্র জীবন তাঁর আয়ত্তে । সাধারণত সমাজের স্তরবিন্যাস তাঁর দৃষ্টিবিন্দু রচনা করে। তাঁর গল্পের উক্তি - "উবাইদুল মাবুদের আসল পেশা তাবিজ বিক্রি নয়, তার আসল পেশা হার্ডওয়ার ব্যবসা।. তাবিজ বিক্রিটা তার একটা শখ, অথবা বলা যায় স্বপ্না- দিষ্ট বাধ্যবাধকতা।

তাবিজওয়ালার কাহিনী এরকম নানাদিকে ছড়ায়, পরিব্যপ্ত হয় সমাজে, আশা-আকাঙ্খা ও বাস্তবতার ভেতরে। সমাজের শ্রেণিস্তরকে চিহ্নিত করেন লেখক। সংস্কার কুসংস্কার, স্বস্তি সাধ্যের প্রশ্নগুলোর কার্যকারণ রূপ প্রকাশ করতে গিয়ে একটা পরিচ্ছন্ন শৈলী গ্রহণ করেন গল্পকার।

সেলিম মোরশেদ (১৯৬১) প্রতিশিল্প গোষ্ঠীর লেখক । জীবনকে স্পষ্ট করে দেখাকেই এ সম- য়ের গল্পকাররা গল্প মনে করেন। ভিক্ষাবৃত্তিরমানুষের চিত্র ফুটে উঠেছে তাঁর 'কাটা সাপের মুণ্ডু' (১৯৯৩) গল্পে । গল্পটি ভিক্ষুক হেমাঙ্গিনীর যৌনজীবন নিয়ে রচিত। গল্পের নায়িকা হেমাঙ্গিনী এক নুলো ভিখিরি নারী যে বাস করে বস্তির খুপরিতে। গল্প হয়ে ওঠা, প্রশ্নের ভেতর দিয়ে চরিত্র সৃষ্টি করা, সবকিছুর ঊর্ধ্বে জীবনকে বড় করে দেখা - এমনটা না হলে গল্পকারদের চলবে কি করে! জীবনবীক্ষা শুধু ভাষা নয়, সেখা- নে ভাষার নির্মাণটি দরকার। যেটা কাহিনী ভাষা, নইলে গল্প পাঠককে কাছে নেবে না। 'কাটা সাপের মুণ্ডু' গল্পে সেটি লক্ষ করা যায়।

সুশান্ত মজুমদার (১৯৫৪) শ্রমজীবী মানু ষের জরাজীর্ণ জীবিকা তুলে ধরেছেন তাঁর 'ফাটল' গল্পের মধ্য দিয়ে। এ গল্পের কিছু অংশ “দুই বছরের শুকনো বাচ্চাকে কোলে নিয়ে এই প্রথম হাড্ডিসার সকিনা ঢাকায় অক্ষম বুড়ো শ্বশুর ইউসুফ আলী আকনের পিছন ধরে হাজিরা স্বামী আনছার আলী আচমকা মরার আগেশহরের কত উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদ ঢালাই করল, - - ঢাকায় থাকার চোয়াল চাপা কষ্ট, গোঁজামিল সকিনা বোঝে কেমনে!”

যেসব মানুষ জীবিকা অর্জনের জন্য শহরে গিয়ে আশ্রয় নেয়, তা- দের কষ্ট, দুর্ভোগ তুলে ধরেছেন গল্পকার এ গল্পে। এ গল্পে বাংলার প্রান্তিক, কঠোর মানু- ষের জীবন প্রানই ধরা পড়ে। আর বিপরীতে পরিহাস তৈরি হয় অট্টালিকাময়, বিভেদ-বৈষ্য- মোর ভোগবাদের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে। এমন আড্ডিক ও বিপুল নির্মাণ তাঁর গল্পে ।

কাজল শাহনেওয়াজ (১৯৬১) তাঁর ‘কাছিম- গল্পে গালা’কাছিম শিকারী মানুষদের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন। নৌকা ভাসিয়ে কাছিম ধরতে তারা দেশে-বিদেশে যায়। সারা শীতকাল তারা ব্রহ্মপুত্রে কাছিম ধরে, পানি শুকিয়ে গেলে তারা আবার ফিরে আসে নিজ দেশে।

আলোচ্য গল্পকাররা ছাড়াও আর সাম্প্রতিক ধারার আরও অনেক গল্পকার তাঁদের গল্পে নানা পেশাজীবী সম্প্রদায়ের জীবনজীবিকাতুলে ধরেছেন ।

যবনিকা : সুতরাং পরিশেষে বলা যায় যে, সাম্প্রতিক ধারার কথাসাহিত্য মানেই আজ- কের জীবনের প্রতিচ্ছবি। অস্থির উত্তেজনাময় বিশ্বে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ আজ সুস্থ ও শান্ত হয়ে জীব ন অতিবাহিত করছে পারছে না। এই সংক্ষুব্ধ। জীবন চিন্তাই সাম্প্রতিক কথাসাহিত্যের উপজীব্য বিষয়। গ্রামীণ জীবন, নাগরিক জীবন, নানা পেশাজীবী মানুষ ও সম্প্রদায়, আঞ্চলিক জীবন- চিত্র, ঐতিহাসিক চেতনা, মনস্তত্ত্ব ইত্যাদি নানা দিক থেকে নন নতুনতর বৈশিষ্ট্য নিয়ে সাম্প- তিক কথাসাহিত্যের যথেষ্ট অগ্রগতি এসেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ