"ডাকঘর " বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর অন্যতম আলোচিত নাটকের একটি।নাটকটি ১৯১১ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।তিনটি খন্ডে বিভক্ত নাটকটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক আর্তনাদ এর কথা বলেছেন। জাগতিক নানা সীমাবদ্ধতা থেকে মানুষ যে মুক্তির পথ খজে বেড়ায় সেই বিষয়টিই এখানে দেখানো হয়েছে।
মানুষ কিসে সুখী হোন,কিংবা কোন বস্তুু বা বিষয় এর সান্নিধ্য পেলে মানুষ সত্যিকার অর্থেই প্রশান্তি লাভ করবেন তার একটি ব্যাবচ্ছেদ দেখানো হয়েছে নাটকটিতে। অর্থ সম্পদ,কিংবা ক্ষমতা হলেই মানুষ সুখী হবে এমন নয়।সেখানেও সহস্র বাধা আর বেড়াজালে পরাস্ত মানুষ। হয়তো সামাজিক ভাবে , পারিবারিক ভাবে কিংবা রাষ্ট্রিয় ভাবে অসংখ্য চাপ মানুষকে বার বার পিছিয়ে দেয়। আর এইসব থেকে মুক্তিপ্রিয় মানুষেরা নানা পন্থা অবলম্বন করে,,কেউ হয়তো ধর্ম গ্রন্থ আবার কেউ কোন মহান ব্যাক্তি,,কিংবা কোনো ভুল পন্থা।
এক কথায় অসংখ্য দুর্বিষহতা,কষ্ট, গ্লানি,অভিমান,বন্ধন,সীমাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।আর এই বিষয়টিই ডাকঘর নাটকে ফুটে উঠেছে। এখানের অমল চরিত্রটিকে লেখক, মুক্তিপ্রাণ মানুষের সাথে তুলনা করেছেন,,। যে কি না উন্নত জীবনের সান্নিধ্যে পেয়েও সামাজিক শৃঙ্খল থেকে মুক্তি চায়।আকাশে উদীয়মান মুক্ত পাখিদের মতো সেও মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে চায়।পাহাড় তাকে ডাকে,সমুদ্র তাকে ডাকে,এইসবে যেন তিনি তার মুক্তির স্বাদ আস্বাদন করতে চায়। আর সব কিছু পেরিয়ে শৃঙ্খলিত আর নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চান।
আর তাই বিশিষ্ট জনদের মতেঃ-
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় এর মতেঃ-
"আধ্যাত্নিক দিক থেকে ডাকঘরএর একটি সুষ্ঠ ব্যাখ্যা করা যায়"
উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতেঃ-
"মৃত্যুই অমলের মুক্তির দূত- তার পরম বন্ধু ""
অর্থাৎ,মুক্তির আকাংখায় ধাবমান হওয়া সহস্র মানুষের আকুতি প্রচেষ্টা নাটকটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
**বাংলা সাহিত্যের সকল পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
চরিত্রঃ-
১.অমল
২.মাধব দত্ত
৩.পালিত কন্যা সুধা
৪.ফকির
৫.দইওয়ালা
৬.মোড়ল
৭.রাজকবিরাজ
ইত্যাদি
"ডাকঘর " নাটকঃ-
ডাকঘর নাটকট পিডিএফ --
নিচে পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করা হয়েছে। নিচে দেখুন।
ডাকঘর নাটকটি নিচে দেওয়া হলো--
0 মন্তব্যসমূহ