Hot Posts

6/recent/ticker-posts

মহাবিশ্বে নিঃসঙ্গ চেতনা- প্রবন্ধ আলোচনা /আবদুল হকের প্রবন্ধ আলোচনা

 



**মহাবিশ্বে নিঃসঙ্গ চেতনা- প্রবন্ধ আলোচনা

** /আবদুল হকের প্রবন্ধ আলোচনা 

**আবদুল হকের প্রবন্ধ আলোচনা 

**আবদুল হকের সাহিত্য চিন্তা 

আবদুল হক (১৯১৮-১৯৯৭) বাংলাদেশের সাহিত্যে একটি অনবদ্য নাম।বিশেষ করে প্রবন্ধ সাহিত্য তার পারদর্শিতা তার চিন্তাধারার প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। তার লেখা প্রবন্ধগ্রন্থগুলোর মধ্যে "মহাবিশ্বে নিঃসঙ্গ চেতনা" প্রবন্ধ গ্রন্থটি অন্যতম।গ্রন্থ টিতে তিনি মহাজাগতিক বিষয়ের সাথে  সাথে  সমাজ, সাহিত্য, সাহিত্য চিন্তা,সাহিত্য সৃষ্টির কলা কৌশল, তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থা তুলে ধরেছেন। ব্যাঙ্গ বিদ্রোপের সাথে সাথে তিনি তার চিন্তা মননের স্ফুরণ ঘটিয়েছেন।

আবদুল হকের প্রবন্ধ আলোচনা নিচে দেওয়া হলো--

প্রবন্ধ গ্রন্থটিতে যে সকল প্রবন্ধ রয়েছে সেগুলোর আলোচনা /সারসংক্ষেপ নিচে দেওয়া হলোঃ-


(১)মহাবিশ্বে নিঃসঙ্গ চেতনাঃ-

প্রবন্ধ টি, প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধে দুইজন ভাইকিং এর কথা বলা হয়েছে। যারা মঙ্গল গ্রহে যান।এবং সেখানের নানা তথ্য সংগ্রহ করে আনেন। তারপর, পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে নানা মিল অমিল খুজে বের করার চেষ্টা করেছেন।তাদের মতে মহাকাশে প্রানের অস্তিত্ব পাওয়া খুবই সংকীর্ণ। তাই লেখক বলেনঃ-

"আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম, আমরা নিঃসঙ্গ আছি,আমরা নিঃসঙ্গ থাকবো"


তাছাড়া পৃথিবী থেকে বিভিন্ন দেশের প্রসিডেন্ট এর আদেশে মহাবিশ্বে প্রাণ  খুজার কথা বলেছেন। কিন্তু তা আশায় গুড়েবালী।।লেখক মুলত ব্যাক্তি মানুষের একাকিত্বের কথা বলেছেন। রুপকের আড়ালে ব্যাক্তি ৃ মানুষের সঙ্গী খুজার অভিপ্রায় এখানে উঠে এসেছে। 


(২)সমকালঃ-

এই প্রবন্ধে লেখক তার সময়ে প্রকাশিত সমকাল পত্রিকার কথা বলেছেন। ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত সমকাল পত্রিকাটি দেশভাগ, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন কিংবা ৫৪ সালের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সেই সময়ের সাহিত্য কর্মীদের সাহিত্য চিন্তার বিকাশ দেখিয়েছেন। একটি পত্রিকা সাহিত্য বিকাশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তাই দেখানো হয়েছে। 

(৩)দোদ্যুল্যমান জাতীয়তাঃ-


এই প্রবন্ধে লেখক মানুষ জাতীয়য়তার পরিচয় কিভাবে দিবে তা দেখানো হয়েছে। আমরা জাতী হিসেবে মুসলমান না বাঙালি না বাংলাদেশী এই প্রশ্নের উওর প্রবন্ধ টিতে লেখক দিয়েছেন।ধর্মের গুড়ামির সাথে সাথে ব্যাক্তি পরিচয় বিকিয়ে দিতে আমরা কুন্ঠিত বোধ করিনা। অথচ নিজের পরিচয় এর জন্য ৪৭ এ দেশভাগ, ৫২ তে ভাষার জন্য,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন।এতগুলো বিসর্জ্জন সত্ত্বেও  এক ধর্মীয় গোঁড়ামীর কাছে অবনত হচ্ছি।লেখক মুলত এখান থেকে বের হয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে পরিচিত হওয়ার কথা বলেছেন। 


(৪)মুল্যায়ন এর মরীচিকাঃ-

এইপ প্রবন্ধে লেখক মুল্যায়ন এর সুত্র সম্পর্কে বলেছেন। সাহিত্যিকদের আমরা কি হিসেবে মুল্যায়ন করি??

১.ধর্ম দিয়ে 

না কি

২। তাদের কর্ম দিয়ে 

আসলে আমরা প্রথম টি দিয়েই মুল্যায়ন করি, যার কারনে রবীন্দ্রনাথ মুসলমানদের কাছে সঠিক মুল্যাায়ন পায়নি।অথবা কাজী নজরুল ইসলাম হিন্দুদের কাছে সঠিক মুল্যায়ন পাচ্ছে না,তাহলে সাহিত্য ্র কি দাম থাকলো।লেখক এর মতে ব্যাক্তি মুল্যায়ন হবে তার কর্মে,,ধর্মে নয়।


**মহাবিশ্বে নিঃসঙ্গ চেতনা-প্রবন্ধ গ্রন্থটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন 


(৫)সাহিত্য হিসেবে নাটকঃ-

এই প্রবন্ধে নাটকের গঠন, বিষয়বস্তুু ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে ভারতবর্ষে নাট্য চর্চা এবং নাট্য সাহিত্যের কথা বলা হয়েছে। তিনি মুলত ইউরোপে নাটক সফল হওয়া এবং ভারতবর্ষে নাটকের সফল না হওয়ার বিষয়টি আলোকপাত করেছেন।তার মতে বাংলাদেশের নাটকের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য নেই,।সেই  সাথে নাটক কে উপভোগ করার মতো দর্শক ও পাঠকশ্রেণী গড়ে উঠতে পারেনি। সঠিক কাঠামো মেনে নাটক রচনা এবং পাঠকের একনিষ্ঠতার মাধ্যমেই বাংলা নাটক স্বার্থক সাহিত্য হিসেবে প্রস্ফুটিত হবে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ