***বিঃদ্র-বাংলা বিভাগের সকল পড়াশোনা পেতে ব্লগটিতে যুক্তথাকুন---
১। 'শিকায়াত্-ই-রোজগার', অর্থাৎ গ্রহের ফের বা অদৃষ্টের প্রতি অনুযোগ।
২। 'হও', অর্থাৎ ভণ্ডদের, বকধার্মিকদের প্রতি শ্লেষ-বিদ্রূপ ও তথাকথিত আলেম বা জ্ঞানীদের দাম্ভিকতা ও মূর্খদের। ঘৃণা প্রকাশ।
(৩) 'ফিরাফিয়া' ও 'ওসালিয়া' বা প্রিয়ার বিরহে ও মিলনে লিখিত কবিতা।
৪। 'বাহরিয়া'— বসন্ত, ফুল, বাগান, ফল, পাখি ইত্যাদির প্রশংসায় লিখিত কবিতা।
৫। 'কৃষ্ণরিষ্কা' – ধর্মশাস্ত্র-বিরুদ্ধ কবিতাসমূহ। এইগুলো ওমরের শ্রেষ্ঠ কবিতা রূপে- কবি-সমাজে আদৃত। স্বর্গ-নরকের অলীক কল্পনা, বাহ্যিক উপাসনার অসারতা, পাপ-পুণ্যের মিথ্যা ভয় ও লাভ ইত্যাদি নিয়ে লিখিত কবিতাগুলো এর অন্তর্গত।
৬। 'মুনাজাত' বা খোদার কাছে প্রার্থনা। এ প্রার্থনা অবশ্য সাধারণের মতো প্রার্থনা নয়, সুফির প্রার্থনার মতো এ হাস্য-জড়িত।
ওমরকে Epicurean কতকটা বলা যায় শুধু তাঁর 'কুফরিয়া' শ্রেণির কবিতার জন্য।এছাড়া, ওমর যা, তা ওমর ছাড়া আর কারুর সঙ্গেই তুলনা হয় না। ওমরের কাব্যে শারাব-সাকির ছড়াছড়ি থাকলেও তিনি জীবনে ছিলেন আশ্চর্য রকমের সংযমী। তাঁর কবিতায় যেমন ডাবের প্রগাঢ়তা, অথচ সংযমের আঁটসাঁট বাঁধুনি, তাঁর জীবনও ছিল তেমনি।ফিটজেরাল্ডের মুখে ঝাল খেয়ে অনেকেই বলে থাকেন, ওমর যে শারাবের কথা বলেছেন তা প্রাক্ষারস, তাঁর সাকিও রক্তমাংসের ফিটজেরাল্ড তাঁর মতের পরিপোষকতার জন্য কোনও প্রমাণ দেননি। তাঁর মতে মত দিয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। ওমর তাঁর কিবা-ইতে অবশ্য শারাব বলতে আঙ্গুরের বাগ-এর উল্লেখ করেছেন; কিন্তু ওটা পারস্যের সকল কবিরই অন্তত
বিলার জন্য বলা"-র বিলাস। শারার, সাকি, গোলাপ, বুলবুলকে বাম নিয়ে যে কবিতা লেখা যায়, তা ইরানের কবিরা যেন ভাবতেই পারেন না।এম হয়তো শারাব গান করতেন কিংবা করতেনও না। এর কোনওটাই প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সত্য বলে মেনে নেওয়া যায় না। ওমরের রুবাইয়াতের মতবাদের জন্য তাঁর দেশের তৎকালীন ধর্মগোঁতাদের অত্যন্ত আক্রোশ ছিল, তবু তাঁকে দেশের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী বলে সম্রাট থেকে জনসাধারণ পর্যন্ত ভক্তির চোখে দেখত। সে যুগের ইমনীখীরা তারের ছাত্র ছিলেন; কাজেই, মনে হয়, তিনি মদ্যপ সম্পটের জীবন (উইহা থাকলেও) যাপন করতে পারেননি। তাছাড়া, ওভাবে জীবনযাপন করলে গোঁড়ার দল তা লিখে রাখতেও ভুলে যেতেন না। অথচ, তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রুও তা দিয়ে যাননি। সাধারণের শ্রদ্ধাভাজন হওয়ার শান্তি তাঁকে পেতে হয়েছিল হয়তো এভাবেই যে, তিনি নিজের স্বাধীন ইচ্ছামতো জীবনযাপন করতে পারেননি। শাহাব সাকির স্বপ্নই দেখেছেন তাদের ভোগ করে যেতে পারেননি। ভোগ-এ মনে এমন আগুন জ্বলে না। এ যে মরুভূমি নিয়ে হয়তো বহু নিয়ে কান্নার ফ তৌধু-সঙ্ক বালুকারা, তীব্র দান। এর যেন মরুভূমির বুকের দুরতরু মরুভূমির খেজুরগাছকে দেখলে যেমন অবাক হতে হয় এমরবে দেখেও তেমনি বিস্মিত হই। সারা দেহে কটকের জ্বালা, ঊর্ধ্বে বৌদ্রতপ্ত আকাশ, নিয়ে আতপ তন্ত্র বালুকা- তারই মাঝে এত বস সে পায় কেমন করে?
খেজুরগাছের মতোই ওমর এরস দান করেছেন নিজের হৃৎপিণ্ডকে বিদারণ করে। এর মিষ্ট হলেও এতো অহজলের লবণ মেলা। খেজুরগাছের রস যেমন তার মামা হেঁছে বের করতে হয়, এমর খৈয়ামের রুবাইয়াতও তেমনি বেরিয়েছে মন্বিত থেকে যায় হাজার বছর আগে এত বড় জ্ঞানমাগী কবি করে জন্মাল, বিশেষ করে ইরানের মতো অনুভূতিপ্রবণ দেশে তা ভেবে অবাক হতে হয়। মরকে দেখে মনে হয়, কোনও বিংশ শতাব্দীর কবিও বুঝি এত মডার্ন হতে পারেন না। ওমরকে লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয়েছিল, তা বুঝি তাঁর এই হাজার বছ আগে জন্মাবার জন্যেই। আজকাল পৃথিবীর কোনও মডার্ন কৰিই তাঁর মতো মডার্ন নন, নন। বিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-প্রবৃদ্ধ লোকও তাঁর সব মত বুঝি করতে পারেন না। তার আজ জগতের অপরিমাণ এক পাচ্ছেন তবু মনে হয় আরও চার-পাঁচ শতাব্দী পরে তিনি আরও বেশি শ্রদ্ধা পাবেন- যা পেয়েছেন
প্রমত তাঁর অসময়ে আসা সম্বন্ধে যে অত বেশি সচেতন ছিলেন, তা তাঁর লেখার মুহসাহসিকতা, পৌরুষ ও গভীর আত্মবিশ্বাস দেখেই বুঝা যায়। তিনি যেন তাঁর কাছে, আর সব মানুষকে অতি ক্ষুদ্র Pigmmy করে দেখবেন।
তিনি নিজেকে এইসব ক্ষুদ্ৰ-জ্ঞান মানুষের, এমনকি সে যুগের প্রমাকথিত সেই আনীগণেরও বহু বহু উর্ধ্বে মনে করতেন। তিনি যেন জানতেন তাঁর। তাঁর লেখা বুঝবার মতো লোক কেউ জন্মায়নি, তিনি যা লিখেছেন তা অনাগত দিনের নতুন পৃথিবীর জন্য।
অমর সৃষ্টি ছিলেন কিনা জানিনে। কিন্তু এই পথের পথিক হারা, ঊষা শুমরকে সৃষ্টি এবং খুব উঁচু দরের তাপস বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন, সুফি জনপ্রিয়তার বা লোকের শ্রদ্ধার আম্মুম এড়াবার ব্রুনাই ঘোরতর পাপ পরিহার করেন। তাঁরা নিজেদের মাপ স্পট বলে যোনির্বাসন বরণ করে নিজেরা এর সাধনায় মগ্ন থাকেন। তাছাড়া, ইরানে কবির শরাবকে সকলে সত্যিকার মন বলে নেন না। তাঁরা শাবাদ বলতে আনন্দ-ভূমানন্দকে বোঝেন যে আন- রুক্মিণী সুবার নেশায় তাপস-ঋমি সংসারের সব ভুলে গিয়ে আপনাতে আপনি বিভোর হয়ে থাকেন। সাকি বলতে বোঝা মুর্শিদকে, শুরুতে, যিনি সেই আনন্দ-শারার পরিবেশন করেন। য ওসব তত্ত্বকথা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন নেই, কেননা আমরা বুজিজ্ঞাসু নই, আমরা রস-শিপাসু। ওমর কবিতা লিখেছেন, এবং তা চমৎকার কবিতা হয়েছে, আমাদের পক্ষে এই যথেষ্ট আমরা তা পড়ে অত্যন্ত আনন্দ পাই, আমাদের এতেই আনন্দ।
আমাদের কাছে, বিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-বিজ্ঞান-পুষ্ট কারণ জিজ্ঞাসু মনের কাছে, ওমরের কবিতা যেন আমাদেরই প্রশ্ন আমাদেরই প্রাণের কথা। আমরা করি করেও যেন সাহস ও প্রকাশক্ষমতার দৈন্যবশত তা জিজ্ঞাসা করতে পারছিলাম না। বিগত মহাযুদ্ধের মতোই আমাদের আজকের জীবন– মহাযুদ্ধ-ক্লান্ত অবিশ্বাসী মন জিজ্ঞাসা করে ওঠে- কেন এই জীবন মৃত্যুই বা কেন? স্বর্গ, নরক, ভগবান বলে সতাই কিছু আছে। আমরা মরে কোথা যাই? কেন এই হানাহানিঃ এই অভাব, দুঃখ, শোক। এমনি অর্থনতি প্রশ্ন, যার উত্তর কেউ দিতে পারেনি। যে উত্তর দিয়েছে, সে তার উত্তরের প্রমাণে কিছুই দেখাতে পারেনি; শুধু বলেছে বিশ্বাস করা কবু আমাদের মন বিশ্বাস করতে চায় না, সে তর্ক করতে শিখেছে। এই প্রশ্ন অমরের জ্ঞান-প্রশান্ত মনে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মায়ের মতোই দোগ নিয়েছি। সেই তরঙ্গ-সংঘাতের সঙ্গীত, বিলাপ, গর্জন শুনতে পাই তাঁর রুবাইয়াতে। ওমরকে বিংশ শতাব্দীর মানুষের ভালো লাগার কারণ এই এমন বলতে চান, এই প্রশ্নের হাত এড়াবার জন্য তক্ত অবতার-পরগাছা আৰু যে প্রশ্ন সেই প্রশ্নই রয়ে গেল। মানুষের দুর্থ এক ভিলও করল না। তার ভাই বললেন, এসব মিথ্যা, পৃথিবী মিথ্যা, স্বর্ণ মা পাপ-পু মিথ্যা, তুমি মিথ্যা, আমি মিথ্য, সভা ম্যা, মিথ্যা মিথ্যা। একমাত্র সত্য- যে মুহূর্তে তোমার হাতের মুঠোয় এল তাকে ছুটিতে যোগ করে নাও। স্রষ্টা যদি কেউ থাকেন,তিনি আমাদের
মাখে-মুখে নির্বিকার আমরা তাঁর হাতের বেলনা-পুতুল। সৃষ্টি করছেন অন্নছেন - ভূমি 'লে যা হবে না কাঁদলেও তাই হবে। যা হবার তা হবেই। যে মনো গেল, সে একেবারেই মরে গেল; সে আর আসবেও না, বাঁচবে? না। তার পাপ-পুণ্য প্রায়ই আদেশ - তাঁর খেলা জমানার জন্য। মোট কথা, এটা একটা বিরাট খেয়ালি শিশু বা ঐন্দ্রজালিক।
আমি ওমরের রুবাইয়াৎ এক হাজার করাই শিনধিক দৃশ্য করার কথা বেছে নিয়েছি এবং তা ফার্নি ভাষার রাইয়াৎ থেকে। কারণ, আমাদের বিবেচনায় সাইগুলো ছাড়া বানিফুরাই মনের শত বা ইলের সঙ্গে একেবারে দিশ ব্যাংনা। রবীন্দ্রনাথের কবিতার পাশে আমার মনে। কবির কবিতাই একেবারে রাবিতে তমর খৈয়ামের ভাব নেই, - ছেলের কোনও কিছু নেই। কোনো পদা-দিদিয়ের শো আর তা যদি মনে হয়, তবে তা অনুবাদ করে করার নেই। বাগানের গোলাপ তুলব, তাই বলে বাগানের আগামীক
আমি আমার একাদি দেখাবার জন্য ওমর খৈয়ামের তাঁর ভাষা বা সাইকে বিরুষ্ট করিনি। অবশ্য আমার সাবাদতো। এর জন্য আমার আসে পরিশ্রম করতে হয়েছে। কাগজ পরিশের, যাকে পালে আশ্রয়, তা-ই ন রুদ্র জিনিস এর প্রকাশের অনিয়া ৮৪। ছেড়েছি। ওমরের তাদের নিয়ে তাঁর বাইয়াৎ লিখে লেখেন তাদের মতোই তায়া, ভাব, শেষ হাসি বনের পরে কত বিভিন্ন সময়ে তিনি এই কবিতাগুলো দিয়েছেন, অথ্য সম্বন্ধে কখনও এতটুকু দেখা
ওমর খৈয়ামের ভাষে অনুবাদিত ফিটজেরার্ডের কী তার যাঁরা অনুবাদ করেছেন, তাঁরা সকলেই আমার শক্তিশালী। কাজেই তাঁদের ম শোলাবে না হয়তো শোনায়, আমার কিছু ভাব সাখনার অভাব, কেননা, কাবালোকের থেকে সঙ্গীতলোকের বাি আমার পার হয়ে গেছে। কাশী দুই বোন বলেই বুঝি বলেন মধ্যরাদে পেয়ে গেলে আরেকজন বাপের বাড়ি চলে যান। দুইজনাকে খুশি করে রাখার মতো শক্তি প্রবীন্দ্রনাথের মতো লোকেরই আছে। আমার
হে সম্বলও নেই, শক্তিও নেই। কাজেই, আমার সক্ষমতার দরুন কেউ যেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি মনের ওপর চটে না যান।
ওমেরর রুবাইয়াৎ বা চতুস্পদী কবিতা সম্পনী হলেও তার দুটি পদই ফুটেছে আরবি ঘোড়ার মাপ্ত ভেঙ্গে সম-কালে- , সংস্কার, বিধিনিষেধের পথে ধূলি উড়িয়ে তাদের বুক চূর্ণ করে। সেই উঠৈকে আমার হতে পড়ে হয়তো বা বাড়ি মোড়লের গোড়াই হয়ে উঠছে কাছে এক জমিদার ছিলেন, তাঁর নাম বজদি মোড়ল। তাঁর এক নাম ছিল, সে জাতে অন্য হলেও এনে অশ্বতর ছিল। তিনি যদি মনে করতেন পশ্চিম দিকে যাবেন, গোড়া যে পূর্ব দিকে। ঘোড়াকে কিছুতেই বাগ মানাতে না পেরে শেষে বলতেনঃ-"আচ্ছা চল ,, এদিকে আমার জমিদারি আছে।"
সমণের বোরবাক না শোতে আমার মতো আনাড়ি নওয়ার যে বাগ মানাতে পারবে, সে ধৃষ্টতা আমার নেই। তবে উক্ত বন্দি মানুষের মতো যে গোড়াকে হার তাতে নিইনি। মাথাম তবে প্রাণবন বাধা দিয়েছি, সে অন্য পথে না যায়। অবশ্য মাঝে মাঝে গড়ক-গণ্ডৰ অৱস্থত হয়ে তার করতে আমার নেই। তবে এটুকু জোর করে বলতে পারি, তাঁর ঘোড়া আ হয়ে যায়নি দীন চার-পায়াও হয়নি। ততোটুকু কইনার ( শারণেও অদ্ভুত 'কলমে সলোনার কিন্তু চেষ্টা করেছি।
আমার দেখে সেবার আগে দৈয়ামের শাবাবকে উপদেশ দেন। এর নামেই এ নেশা,এইরকম করি, তার থেকেই লেখেন। হয়। অন্য আামরা খেলে দনের পালা। আওয়ানোর শেষে, বিনয় প্রকাশেরনা করলেও হয়, তবু দেশের মাত্র মেনে চলতেই হবে।
0 মন্তব্যসমূহ